এখন ব্যবহারকারীদের অ্যাপলের ‘সাফারি’ ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ইউটিউব ব্যবহার করতে হচ্ছে যার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
Published : 08 Feb 2024, 01:23 PM
অ্যাপলের ভিআর হেডসেট ভিশন প্রো উন্মোচনের আগে বহুল আলোচিত বিষয় ছিল প্ল্যাটফর্মটিতে ইউটিউব অ্যাপের অনুপস্থিতি।
চোখে পড়ার মতো এ শূন্যতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে অবশেষে এ হেডসেটের জন্য আলাদা ইউটিউব অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে গুগল।
ইউটিউব ছাড়াও, নেটফ্লিক্স ও স্পটিফাই জানিয়েছিল ভিশন প্রো উন্মোচনের সময়েই এসব অ্যাপের আলাদা সংস্করণ মিলবে না।
অ্যাপ নির্মাতারা হেডসেটের জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন অ্যাপ বানাতে বা আইপ্যাড সংস্করণের অ্যাপ ডাউনলোড করে নতুন অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন। তবে, ইউটিউব এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল যারা কোনোটিই করার সিদ্ধান্ত নেয়নি।
উল্লেখিত বিকল্প দুটির শেষেরটি নির্মাতাদের বিশেষ কোনো চেষ্টা ছাড়াই ব্যবহারকারীদের একটি অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ দেয়। প্রতিবেদন অনুসারে, কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন ইচ্ছে করেই বিষয়টি উপেক্ষা করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের মতবিরোধের মধ্যে পড়েছিল কিনা বা কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা প্ল্যাটফর্মে এ অনুপস্থিতির কারণ কিনা তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
গত সপ্তাহে উন্মোচনের পর থেকে ভিশন প্রো সম্ভবত সফল হয়েছে বলে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহারের জন্য উপহাসের শিকারও হয়েছেন অনেকে।
আরেকটি অনানুষ্ঠানিক ইউটিউব অ্যাপও সম্ভবত সাফল্য পেয়েছে। কানাডিয়ান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্টিয়ান সেলিজের নকশা করা ‘জুনো’ নামের ওই অ্যাপটি উন্মোচনের পর বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
"আমরা ভিশন প্রো’র উন্মোচন দেখে উচ্ছ্বসিত ও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সাফারিতে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা এটিকে সমর্থন করছি," – টেক সাইট ভার্জকে জানিয়েছেন ইউটিউবের এক মুখপাত্র।
"আমাদের এই সময়ে জানানোর মতো কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। তবে, এটি নিশ্চিত করতে পারি যে একটি ভিশন প্রো অ্যাপ আমাদের রোডম্যাপে রয়েছে।"
এখন ব্যবহারকারীদের অ্যাপলের ‘সাফারি’ ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ইউটিউব ব্যবহার করতে হচ্ছে যার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, থ্রিডি ও ৩৬০-ডিগ্রি ভিডিওগুলো ইউটিউবের ওয়েব সংস্করণে দেখা যায় না।
উন্মোচনের সময়ে অ্যাপল বলেছিল, ভিশন প্রো’র জন্য ৬০০টিরও বেশি বিশেষভাবে তৈরি অ্যাপ ও গেইম রয়েছে। পাশাপাশি, ডাউনলোড করা যাবে আইপ্যাড সংস্করণের দশ লাখেরও বেশি অ্যাপ। ওই ৬০০টি অ্যাপের মধ্যে ‘এইচবিও ম্যাক্স’ ও ডিজনিপ্লাস ছাড়াও অন্যান্য অনেক স্ট্রিমিং পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।