চীনের বাজার এনভিডিয়া, কোয়ালকম ও ইনটেলের মতো কোম্পানির কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর কোয়ালকমই একমাত্র কোম্পানি যারা চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের কাছে মোবাইল ফোন চিপ বিক্রির মার্কিন লাইসেন্স পেয়েছে।
Published : 28 Jul 2023, 02:49 PM
বাইডেন প্রশাসন চীনের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলেও এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে কোনো কোনো মার্কিন কোম্পানি - এমনই আভাস দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো।
বুধবার এক ফোরামে রাইমন্ডো বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা এতটা বিস্তৃত করা উচিৎ নয় যাতে ‘বিভিন্ন মার্কিন কোম্পানির আর্থিক আয়ে ব্যাঘাত ঘটে ও চীন অন্য কোনো উৎস থেকে পণ্য কেনে’। এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ ‘কয়েকটি মার্কিন কোম্পানির আর্থিক আয়ে প্রভাব ফেললেও’ তার মতে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
গত সপ্তাহে চীনবিষয়ক নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন বিভিন্ন মার্কিন চিপ কোম্পানির নির্বাহীরা। সে বৈঠকে রাইমন্ডো নিজেও উপস্থিত ছিলেন। আর ওই বৈঠকে পরবর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার অনুরোধ জানায় দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর সেমিকন্ডাক্টর লবি।
রাইমন্ডো বলেন, প্রশাসন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে এটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যাতে ‘তাদের ব্যবসার ক্ষতি না হয় ও দেশের জাতীয় নিরাপত্তাও সমুন্নত থাকে’।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন’-এর তথ্য অনুসারে, গত বছর ১৮ হাজার কোটি ডলারের সেমিকন্ডাক্টর পণ্য কিনেছে চীন, যা বৈশ্বিক কেনাকাটার (৫৭ হাজার চারশ কোটি ডলার) এক তৃতীয়াংশ। আর তারাই সেমিকন্ডাক্টর খাতে সবচেয়ে বড় বাজার।
চীনের বাজার এনভিডিয়া, কোয়ালকম ও ইনটেলের মতো কোম্পানির কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর কোয়ালকমই একমাত্র কোম্পানি যারা চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের কাছে মোবাইল ফোন চিপ বিক্রির মার্কিন লাইসেন্স পেয়েছে।
এদিকে, চীনের চিপ শিল্পকে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে অক্টোবরে আরোপিত কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আপডেট করার কথা বিবেচনায় রেখেছে বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে একটি নতুন নির্বাহী আদেশ, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাইরে বিনিয়োগে রাশ টানবে।
“এটা চীনের লাগাম টেনে ধরার বা তাদেরকে এই ধরনের প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা নয়।” --বলেন রাইমন্ডো।
“নিজস্ব সামরিক বাহিনীর বিকাশে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাবান প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার চায়, যা আমরা হতে দিতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, এই নীতিমালা যতটা দ্রুত সম্ভব কার্যকর হবে। আর এটা যেন সঠিক হয় সেটাই নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে রয়টার্স প্রতিবেদনে বলেছে, গত সপ্তাহে ইনটেল, কোয়ালকম ও এনভিডিয়ার সঙ্গে পরিচালিত বৈঠকে অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাইমন্ডো, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, ‘ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল’ পরিচালক লায়েল ব্রেইনার্ড ও ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল’ পরিচালক জেক সালিভান।