এসব ছবি ভবিষ্যতে বিভিন্ন এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে কাজে লাগানো হবে। একই টুল কর্পোরেট ও সামরিক অ্যাপেও প্রয়োগ হচ্ছে।
Published : 19 Apr 2025, 02:59 PM
এআইনির্ভর ভাইরাল ছবির ট্রেন্ড ব্যবহারকারীদের সাইবার নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে তারকা, পেশাদার ক্রীড়া দল সকলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়িয়েছেন, বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহার করে বার্বির আদলে নিজের ছবি তৈরি করছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এ প্রবণতা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে, সম্ভাব্য সাইবার কেলেঙ্কারিকে আমন্ত্রণ জানানো থেকে শুরু করে নৈতিকতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ানোর মতো বিষয়।
ভাইরাল ট্রেন্ডে অংশ নেওয়া ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগ সময়ই তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে এমন ফিচারওয়ালা ছবি তৈরি করেন যেখানে তারা কোথায় থাকেন বা কোথায় কাজ করেন, তাদের পছন্দের কাজ কী এমন সব তথ্য থাকে। এ ধরনের তথ্য হ্যাকিং ও স্ক্যামে খুব সহজেই কাজে লাগাতে পারে সাইবার অপরাধীদের।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘প্যারামিটার সিকিউরিটি’-এর প্রধান নির্বাহী ডেভ ক্রোনিস্টার বলেছেন, “আপনি এই মুহূর্তে আপনার আগ্রহের তিন বা চারটি বিষয় অন্যদের দেখাচ্ছেন এবং তা বিশ্বের কাছে শেয়ারও করছেন। আর এ বিষয়টি আপনার জন্য এখন অনেক বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখন কেউ চাইলেই আপনাকে টার্গেট করতে পারে।
“সাইবার হামলাকারীদের জন্য একজন কর্মী ও ব্যক্তি হিসাবে আপনাকে টার্গেট করার সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং আজও সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় উপায়।”
‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান-সেন্টারড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’-এর প্রাইভেসি ও ডেটা পলিসি ফেলো জেনিফার কিং বলেছেন, ব্যবহারকারীদের ভাবা উচিত যে, তাদের এসব ছবি ভবিষ্যতে বিভিন্ন এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে কাজে লাগবে। এসব একই টুল ক্রমাগত কর্পোরেট ও সামরিক বিভিন্ন অ্যাপেও প্রয়োগ হচ্ছে।
এদিকে, ব্যবহারকারীদের এআইনির্ভর ছবিতে ট্রেডমার্কওয়ালা উপাদান অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন কোম্পানি।
লন্ডনের ‘কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক জিনা নেফ বলেছেন, “চ্যাটজিপিটি বার্বি আমাদের প্রাইভেসি, আমাদের সংস্কৃতি ও আমাদের পৃথিবীর জন্য ত্রিমুখী হুমকি।”