এর আগে হোয়াটস অ্যাপের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনের পরিবর্তন বিতর্কিত প্রমাণিত হয়েছিল।
Published : 17 Feb 2024, 09:37 AM
ইউরোপ অঞ্চলে নিজেদের ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন’ বা সেবা ব্যবহারের শর্তাবলীতে বড় ও ধারাবাহিক পরিবর্তন আনছে অ্যাপনির্ভর মেসেজিং পরিষেবা অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ।
ইউরোপীয় নতুন প্রবিধান ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টস’ ও ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টস’ দুটি অনুসরণ করেই মেটা মালিকানাধীন কোম্পানিটি এ পরিবর্তন আনছে বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
নতুন শর্তাবলীতে অ্যাপে কী অনুমোদিত বা নিষিদ্ধ সে বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য থাকবে। পাশাপাশি, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং পরিষেবা অ্যাপগুলোকে থার্ড পার্টি অ্যাপে মেসেজ পাঠানোর অনুমতি দেওয়ায় বাধ্য করা ইউরোপের নতুন নিয়ম সম্পর্কে আরও তথ্য থাকবে। এ ছাড়াও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে অ্যাপের ‘চ্যানেল’ ফিচারটিতে কীভাবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা হয় সে বিষয়ক তথ্য।
অন্যান্য অ্যাপে মেসেজ পাঠানোর অনুমতির দেওয়ার বিষয়টিকে ইউরোপীয় নিয়মগুলোতে ‘ইন্টারঅপারেবিলিটি’ বলা হচ্ছে। আর এটিই সম্ভবত টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
নিয়ম অনুসারে, কিছু তথ্য এসব থার্ড পার্টি মেসেজিং সেবাগুলোতে পাঠানো হতে পারে। আর এটি হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না ও করতে পারে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
ইউরোপীয় নিয়মের প্রতিক্রিয়ায় করা এ পরিবর্তনগুলো ছাড়াও, ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স ১৬ থেকে ১৩ তে নেমে আসবে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে নূন্যতম বয়স ১৩ এবং কোম্পানিটি এ ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
এর আগে হোয়াটসঅ্যাপের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসের পরিবর্তন বিতর্কিত প্রমাণিত হয়েছিল বলে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ২০২০ সালের শেষ ও ২০২১ সালের শুরু নাগাদ ডেটা শেয়ারিং নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছিল কোম্পানিটি। সে সময় অনেক ব্যবহারকারী ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন, অনেকে অ্যাপ ব্যবহার ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন।
তবে, এবারে হোয়াটসঅ্যাপ জোর দিয়ে বলেছে তারা ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি রক্ষার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“ইউরোপ অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন এই আপডেট ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতিতে পরিবর্তন আনবে না। আর অন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মেসেজ দেওয়ার সময়েও ডেটা শেয়ারিং এর প্রসার ঘটায় না।” – একটি বিবৃতিতে বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র।
“আপনি বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন, আমরা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে সব ব্যক্তিগত মেসেজ রক্ষা করি, যার অর্থ এগুলো কেউ পড়তে বা শুনতে পারে না, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও না।”