সামাজিক নেটওয়ার্কে ঘটে যাওয়া অপরাধী কার্যকলাপ সংশ্লিষ্ট আইনি তদন্তের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুরভ।
Published : 26 Aug 2024, 06:07 PM
পাভেল দুরভের ‘লুকানোর কিছুই নেই’, প্যারিসের কাছাকাছি ফরাসি কর্তৃপক্ষের কাছে টেলিগ্রাম সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই এ মন্তব্য করেছে মেসেজিং সেবাদাতা কোম্পানিটি।
“প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ঘটা বিভিন্ন অনৈতিক কাজের দায় এর মালিককে দেওয়াটা স্রেফ বোকামি,” রোববার নিজেদের অফিসিয়াল চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে কোম্পানিটি।
ফরাসি কর্মকর্তারা একাধিক সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, সামাজিক নেটওয়ার্কে ঘটে যাওয়া অপরাধী কার্যকলাপ সংশ্লিষ্ট আইনি তদন্তের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুরভ।
টেলিগ্রামের বিভিন্ন বার্তা ডিফল্ট হিসেবে ‘এনক্রিপ্ট করা’ না থাকলেও এর মডারেশন ব্যবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘হ্যান্ডস-অফ’ পদ্ধতি অনুসরণ করার মানে দাঁড়ায়, অনেকেই অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিপরীতে অ্যাপটিকে একটি প্রাইভেট ও সেন্সরশিপমুক্ত বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করেন।
“টেলিগ্রাম যোগাযোগ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান প্রদানের বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত, যেখানে এর বৈশ্বিক ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় একশ কোটি,” উল্লেখ রয়েছে কোম্পানির বিবৃতিতে।
“আমরা এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের জন্য অপেক্ষা করছি।”
এ ছাড়া, ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করে আসছে টেলিগ্রাম, যেখানে দুরভের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে রাশিয়া একটু বেশিই আগ্রহী বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।
প্যারিসে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বলছে, ফরাসি সরকার এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে দুরভের যোগাযোগ করার অনুমতি দেয়নি। দুরভের জন্ম রাশিয়াতেই। এ ছাড়া, ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকত্বও আছে তার, যেখানে টেলিগ্রামের সদর দপ্তরও অবস্থিত।
টেলিগ্রাম সিইও পাভেল দুরভ ফ্রান্সে গ্রেপ্তার
এপ্রিলে টাকার কার্লসনকে দেওয়া বিরল এক সাক্ষাৎকারে দুরভ বলেছিলেন, টেলিগ্রামের লক্ষ্য হল একটি ‘নিরপেক্ষ’ প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠা ও বিভিন্ন দেশের সরকারের মডারেশন সংশ্লিষ্ট অনুরোধ নাকচ করা।
দুরভ আরও যোগ করেন, তিনি এমন ‘বড়, ভূরাজনৈতিক’ দেশগুলোয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলেন, যেখানে তার কোম্পানির ওপর ‘একটু বেশিই মনযোগ’ দেওয়া হয়।
“আমি সেইসব জায়গায় ভ্রমণ করি, যেগুলো আমাদের কাজ ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে আত্মবিশ্বাস আছে আমার।”