টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি ‘রেডিট’ ও ইমেজ শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘ইমগুর’-এর বয়স যাচাইকরণ বিভিন্ন প্রক্রিয়া তদন্ত করছে আইসিও।
Published : 04 Mar 2025, 03:07 PM
শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার নিয়ে টিকটক ও রেডিটের বিরুদ্ধে ‘বড় ধরনের তদন্ত’ শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের ডেটা ওয়াচডগ বা তথ্য পর্যবেক্ষণ সংস্থা।
এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম কীভাবে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ডেটা ব্যবহার করে, বা তাদের আরও কনটেন্ট সুপারিশ করে তা খতিয়ে দেখবে দেশটির ‘ইনফরমেশন কমিশনার্স অফিস’ বা আইসিও।
যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনার জন এডওয়ার্ডস বলেছেন, টিকটকের তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতির কারণে শিশুরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে কি না, বিশেষ করে তাদের তথ্য ফাঁস হওয়া বা প্ল্যাটফর্মে ‘প্রয়োজনের চেয়ে শিশুরা বেশি সময়’ ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
টিকটক বলেছে, “টিনএজারদের প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা রক্ষা করে এমন কঠোর ও বিস্তৃত পদক্ষেপের” আওতায় পরিচালিত হয় তাদের বিভিন্ন রেকোমেন্ডেশন সিস্টেম।
কোম্পানিটি আরও বলেছে, “টিনএজারদের ফিডে অনুমোদিত কনটেন্টের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে” প্ল্যাটফর্মটি।
এডওয়ার্ডস বলেন, টিকটকের অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল, পছন্দ, ক্লিক করা লিংক ও তারা একটি নির্দিষ্ট ভিডিও দেখার জন্য কতক্ষণ ব্যয় করে তা থেকে সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত ডেটার ওপর ভিত্তি করে ‘ফিড’ তৈরি করছে প্লাটফর্মটি, যা নিয়মের আওতায় তদন্ত করবে যুক্তরাজ্য।
বিবিসি লিখেছে, টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি ‘রেডিট’ ও ইমেজ শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘ইমগুর’-এর বয়স যাচাইকরণ বিভিন্ন প্রক্রিয়া তদন্ত করছে আইসিও।
এসব প্রযুক্তি কোম্পানি যুক্তরাজ্যের ডেটা নিরাপত্তা আইন ও শিশু কোড উভয়ই মেনে চলছে কিনা তা তদন্তে খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
এ কোডটি শিশুদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য নীতিমালা তৈরির ক্ষেত্রে সেট করেছে যুক্তরাজ্য। যেসব প্ল্যাটফর্ম যুক্তরাজ্যের শিশু ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করে এ কোডের আওতায় অবশ্যই বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিকে ডেটা সংগ্রহের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে ও তা প্রক্রিয়াকরণের সময় তাদের অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে এ তদন্তের মানে এই নয় যে এসব প্ল্যাটফর্মের কোনওটি আইন ভঙ্গ করেছে। তবে তদন্তে যদি প্রমাণ মেলে এসব প্রযুক্তি কোম্পানির আইন ভঙ্গের তাহলে তাদের নোটিশ ও প্রয়োজনে জরিমানা করবে সংস্থাটি।
“আমরা তদন্ত করছি এবং আইন লঙ্ঘনের জন্য অবশ্যই তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে,” বলেছেন এডওয়ার্ডস।
টিকটকের আইসিও’র তদন্তের মুখে পড়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে, ২০২৩ সালে জারি করা শিশুদের তথ্যের অপব্যবহারের জন্য একই বছর টিকটককে এক কোটি ২৭ লাখ পাউন্ড জরিমানা করেছে আইসিও। ওই বছরই এ জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করে প্ল্যাটফর্মটি।