ইঞ্জিনের আওয়াজে যদি বাহনের মার্কা চিনতে হয় তবে সবচেয়ে সহজে সম্ভবত চেনা যায় আমেরিকান হার্লি-ডেভিডসন মোটরসাইকেল আর ইতালির রেসিং কার ব্র্যান্ড ল্যাম্বরগিনি। নতুন খবর বলছে, ল্যাম্বরগিনি আরও অন্তত ১০ বছর প্রচলিত কম্বাশ্চন ইঞ্জিনের গাড়ি বানাবে।
Published : 13 Feb 2022, 07:29 PM
অটোমোবিল বিশ্ব এখন চলছে বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে। সেইসঙ্গে চলছে স্বচালিত গাড়ি তৈরির ইঁদুর দৌড়।
এইমধ্যে জার্মান প্রকাশনা ওয়েল্ট অ্যাম সনট্যাগের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ল্যাম্বরগিনি সিইও স্টেফান উইঙ্কলম্যান বলেছেন, “হাইব্রিডকরণের পর আমরা দেখবো আমরা ২০৩০ সালের পরও ইন্টারনাল কম্বাশ্চন ইঞ্জিনের গাড়ি উপহার দিতে পারি কি না।”
সমস্যা হলো, পরিবেশবান্ধব কারণে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রচলিত তেলে চলা ইঞ্জিনের গাড়ি বানালেও বিশ্বের অনেক দেশের রাজপথেই সম্ভবত আর সে গাড়ি চালানো যাবে না। ২০২৫ সালের মধ্যেই জীবাষ্ম জ্বালানীতে চলা গাড়ি বন্ধ করার পথে আগাচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশ।
প্রায় দেড় দশক আগে, যখন বৈদ্যুতিক গাড়ির জোয়ার আসেনি, তখন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ল্যাম্বরগিনির সিইও স্টেফান উইঙ্কলম্যান গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন, “আমরা সবসময়ই সদর রাস্তার বখাটে ছেলে হিসেবেই থাকব।” তিনি এর মাধ্যমে গাড়ির সড়ক কাঁপানো ইঞ্জিনের আওয়াজের কথাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন হলো, ১০ বছর পরে যখন প্রচলিত ইঞ্জিনবিহীন গাড়ি তৈরি করবে প্রতিষ্ঠানটি, তখন কোথায় যাবে এই আওয়াজ। ল্যাম্বরগিনি যেন তার ঘাড় বাঁকানো ষাড়ের লোগোর সঙ্গে মিল রেখেই বলেছে, “একটা সম্ভাবনা হতে পারে সে সময় সিনথেটিক জ্বালানীতে চালানোর উপযোগী গাড়ি তৈরি করা।”