“এবারও পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর মেয়েদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।”
Published : 12 May 2024, 01:12 PM
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে গত বছরের তুলনায় এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
চলতি বছর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। যা ২০২৩ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
পাসের সঙ্গে কুমিল্লা বোর্ড জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৬২৩ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৯ হাজার ৯৯৮ জন শিক্ষার্থী।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এবারও মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া গড় পাসের হারেও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করেছে। যদিও এবার মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল।
রোববার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১২ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ৮৩৬ জন ছাত্রী। আর ৫ হাজার ২৬৪ জন ছাত্র।
“গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া ১১ হাজার ৬২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৭০৫ জন ছেলে। বাকি ৬ হাজার ৯১৮ জনই মেয়ে।”
কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা নিয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড গঠিত। এ বছর এই ছয় জেলার ১ হাজার ৭৮০টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ৭৪ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র। আর ছাত্রী ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯৫ জন।
এবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫৮ হাজার ৭৮২ জন এবং ছাত্রী ৮৩ হাজার ২৯৯ জন।
গত বছর এ বোর্ডে ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৭৭ হাজার ১০০ এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন।
ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১ লাখ ৪৩ হাজার ২১৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬০ হাজার ৭৪৭ ছাত্র ও ৮২ হাজার ৪৬৯ ছাত্রী।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আসাদুজ্জামান বলেন, “এবারও পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর মেয়েদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এবার ৬ জেলার ৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে।
“গত বছরে এই সংখ্যা ছিলো ৭৯টি। তবে এ বছর পাশের হার শূন্য, এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।”