চীন ২০২৫ সালের মধ্যে লাইভস্ট্রিমিং, ই-কমার্স এবং ক্রীড়া ইভেন্টের কপিরাইট সুরক্ষা উন্নত করবে। এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কপিরাইট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
Published : 29 Dec 2021, 06:38 PM
চীনের চতুর্দশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটির জাতীয় কপিরাইট প্রশাসন নতুন শিল্প ও ক্ষেত্রগুলোয় কপিরাইট সুরক্ষা জোরদার ও উন্নত করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
পরিকল্পনা অনুসারে, বিগ ডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইনের মতো নতুন প্রযুক্তির বিকাশ জোরদার করা হবে এবং ক্রীড়া ইভেন্ট, বৈচিত্র্যের শো, লাইভস্ট্রিমিং এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিতে কপিরাইট সুরক্ষা উন্নত করা হবে।
চীন প্রায় এক বছর যাবত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আইনী কাঠামোর উন্নয়ন এবং শৃঙ্ক্ষলা আনার কথা বলছে। এর প্রতিটি উদ্যোগ কোনো না কোনো ভাবে প্রভাব ফেলছে দেশটির প্রযুক্তি খাতে। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম একে বরবরই প্রযুক্তি উদ্যোগের ওপর দেশটির খড়্গ হিসেবেই বর্ণনা করেছে।
নভেম্বরের শুরু থেকে নতুন ‘তথ্য সুরক্ষা আইন’ কার্যকর করেছে চীন সরকার। ওই উদ্যোগকে বিবিসি বর্ণনা করেছে, “প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাগাম আরও শক্তহাতে টেনে ধরার” উদ্যোগ হিসেবে।
ওই মাসেই চীনের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করেছে দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সে সম্পর্কে সিএনএন-এর প্রতিবেদনে উঠে আসা মন্তব্য ছিল– “পুরো বছর জুড়েই ‘বিগ টেক’ হিসেবে পরিচিত শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।”
সাম্প্রতিক এক সিদ্ধান্তে বিদেশের পুঁজিবাজারে নাম লেখাতে চায় এমন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বিধিনিষেধ কঠোর করার পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। এ সম্পর্কেও সিএনএন-এর মন্তব্য “এর মাধ্যমে আদতে চীন স্পষ্ট করে দিলো যে, কর্তৃপক্ষ যদি কোনো প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে, তবে সেই প্রতিষ্ঠানের বিদেশী পুঁজিবাজারে প্রবেশ আটকে দেওয়া হতে পারে।”
কিছুদিন আগেই শীর্ষ লাইভ স্ট্রিমারকে ২১ কোটি ডলার জরিমানা করেছে চীন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল কর ফাঁকির।
গত এক বছরে যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের ওপর চীনা প্রশাসনের খড়্গ নেমে এসেছে, দেখা গেছে এদের প্রত্যেকেই চীনের ভেতরে ও পাশ্চাত্যে ক্রমশ প্রভাবশালী হয়ে উঠছিলেন। এর প্রথম শিকার হন আলিবাবা প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। চীনের ব্যাংকিং সেক্টরকে আধুনিক হওয়ার ‘সবক’ দেওয়ার পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে নাম লেখানোর উদ্যোগ থেকে সরে আসে প্রতিষ্ঠানটি, জ্যাক মা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে দেন এবং কয়েক মাসের জন্য লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান।