মশার লিঙ্গ, বর্গ, প্রজাতি এবং বংশ শনাক্ত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন গবেষকরা। কনভুলিউটেড নিউরাল নেটওয়ার্ক (সিএনএন) নামের এআই ব্যবস্থা এক্ষেত্রে কার্যকরিতা দেখিয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
Published : 20 Dec 2020, 08:23 PM
পিএলওএস নেগলেকটেড ট্রপিকাল ডিজিজ-এ প্রকাশিত গবেষণা বলছে, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ পর্যালোচনায় মশার নিখুঁত এবং দ্রুত শনাক্তকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সায়েন্সডেইলির প্রতিবেদন বলছে, নতুন গবেষণায় এক হাজার ৭০৯টি প্রাপ্তবয়স্ক মশার ছবির লাইব্রেরিতে কনভুলিউটেড নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ রোড আইল্যান্ডের গবেষক দলটি।
পাঁচটি ভৌগলিক অঞ্চলের ১৬টি বসতি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে মশাগুলো। এর মধ্যে এমন প্রজাতির মশাও ছিলো যা প্রশিক্ষিত পতঙ্গবিজ্ঞানীর পক্ষেও শনাক্ত করা সম্ভব নয়। মশার নমুনাগুলো দুই উপায়ে মজুদ করা ছিলো, বরফ করে রাখা এবং শুকনো নমুনা হিসেবে।
শনাক্ত করা প্রজাতির লাইব্রেরির মাধ্যমে সিএনএন-কে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন গবেষকরা, যাতে ম্যালেরিয়ার জীবানুবাহক অন্যান্য মশা শনাক্ত করা যায়, জীবানুবাহক মশার মধ্যে লিঙ্গ এবং প্রজাতি বের করা যায় এবং একই প্রজাতির মধ্যে আলাদা দু’টি বংশ শনাক্ত করা যায়।
পরীক্ষায় মশার শ্রেণি বের করার ক্ষেত্রে ৯৯.৯৬ শতাংশ সঠিক ফলাফল পেয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা বলছেন, “ম্যালেরিয়া মশা শনাক্তকরণে ডিপ লার্নিং কার্যকরি প্রক্রিয়া হতে পারে, ফলাফল সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।”
“প্রজাতি শনাক্তকার একটি স্বাধীন এবং নিখুঁত প্রক্রিয়া মশা পর্যবেক্ষণ চর্চায় লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আনতে পারে,” যোগ করেন গবেষকরা।