টানা সপ্তমবারের মতো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সম্মানজনক পুরস্কার ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২০ অর্জন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন-এটুআইয়ের দুটি উদ্যোগ।
Published : 10 Sep 2020, 11:49 PM
বৃহস্পতিবার এটুআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ই-বিজনেস ক্যাটাগরিতে একশপ (ekshop.gov.bd) এবং ই-এমপ্লয়মেন্ট ক্যাটাগরিতে দক্ষতা, কর্মসংস্থান ও এন্টারপ্রেনারশিপ বিষয়ক সমন্বিত ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম (skills.gov.bd) চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন করেছে।
সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির ফলে এ বছর ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি অনলাইনে আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সনদ পাঠানো হয়েছে।
আইটিইউ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বিজয়ী প্রকল্পগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে অনলাইনে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নান এবং এটুআইয়ের টিম লিড (রুরাল ই-কমার্স) রেজওয়ানুল হক জামি অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
আব্দুল মান্নান বলেন, “পর পর সাত বছর প্রযুক্তি খাতে অস্কার বলে পরিচিত এই ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার অর্জন করায় আমরা গর্বিত।”
জামি বলেন, “একশপ বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার একমাত্র পরিবেশক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে করে গ্রামের জনগণ প্রযুক্তি সহায়তায় খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটের সাথে যুক্ত হতে পারছে। একশপ জনগণের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে আসছে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই প্রোগ্রাম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা সহজীকরণে কাজ করে যাচ্ছে।
এটুআই’র উদ্যোগ ‘একশপ’ (ekshop.gov.bd) হল সহজ ও দ্রুত সময়ে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রথম রুরাল অ্যাসিস্টেড ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ইতোমধ্যে ৫ লাখের বেশি গ্রাহক একশপের মাধ্যমে ই-কমার্স সেবা গ্রহণ করেছে। একশপ দেশীয় কারিগরদের পণ্য সারা দেশে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১০ লাখের বেশি পণ্য প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
অন্যদিকে দক্ষতা, কর্মসংস্থান ও এন্টারপ্রেনারশিপ বিষয়ক সমন্বিত ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম (skills.gov.bd) হলো ট্রেনিং সেন্টার, ইন্ডাস্ট্রি ও যুবকদের-এর একটি ম্যাচ-মেকিং প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি তার চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী নির্বাচন, ট্রেনিং সেন্টার, যুগোপযোগী অকুপেশনে প্রশিক্ষণ এবং যুবকদের দক্ষতা অনুযায়ী জব প্লেসমেন্ট করা সম্ভব।
এটুআই প্রোগ্রামে উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্যে বিগত বছরগুলোতে যথাক্রমে ২০১৪ সালে ‘ডিজিটাল সেন্টার’; ২০১৫ সালে ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’; ২০১৬ সালে ‘সেবা পদ্ধতি সহজিকরণ-এসপিএস’, পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘অনলাইন ছাড়পত্র’, ‘শিক্ষক বাতায়ন’ এবং ‘কৃষকের জানালা’; ২০১৭ সালে ‘মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক’ পুরস্কার অর্জন করে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টেলিমেডিসিন প্রকল্প’, ‘নাগরিক সেবা উদ্ভাবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার’ ও ই-নথি; ২০১৮ সালে ‘মুক্তপাঠ’ ও ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ এবং ২০১৯ সালে ‘শিক্ষক বাতায়ন’ ও ‘মোবাইল বেইজড এইজ ভেরিফিকেশন বিফোর ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন টু স্টপ চাইল্ড ম্যারেজ প্রজেক্ট’ ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিউএসআইএস) পুরস্কার অর্জন করেছে।