অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবিত অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের সমালোচনা করেছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, কনটেন্টের জন্য সংবাদ সংস্থাগুলোকে যদি তাদের অর্থ দিতে হয়, তবে তাদের বিনামূল্যের সার্চ সেবা “ঝুঁকিতে পড়বে” এবং গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা শেয়ার করা প্রয়োজন হতে পারে।
Published : 17 Aug 2020, 04:03 PM
অ্যালফাবেট মালিকানাধীন মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, প্রস্তাবিত আইনটির কারণে বড় সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের সার্চ র্যাংকিং কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে নিতে পারবে এবং প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষাকৃত বেশি পাঠক টানতে পারবে। প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এতে ছোট প্রকাশক এবং ইউটিউব গ্রাহকদের তুলনায় অন্যায্য সুবিধা পাবে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।
গুগলের মূল সার্চ পাতাতেই এই বিবৃতি প্রচার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল এবং সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট ফেইসবুক স্থানীয় কনটেন্ট এবং গ্রাহকের ডেটা যেভাবে ব্যবহার করছে সেই রীতিতে পরির্তন আনতেই নতুন আইনের প্রস্তাব করেছে অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি)। এতেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে গুগল এবং এসিসিসি’র।
গুগল অস্ট্রেলিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেল সিলভা বলেন, “কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং বিশ্বাসযোগ্য তা দেখতে আপনি সব সময় গুগল সার্চ এবং ইউটিবের ওপর নির্ভর করেছেন। নতুন আইনের আওতায় আমরা এখন আর এই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।”
সিলভা আরও বলেন, “গুগল এবং ইউটিউব সংবাদমাধ্যমের ব্যবসার সঙ্গে কীভাবে কাজ করে প্রস্তাবিত আইন শুধু তাতেই প্রভাব ফেলবে না, এটি অস্ট্রেলিয়ান গ্রাহকের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।”
এদিকে গুগলের বিরুদ্ধে “ভুয়া তথ্য” প্রচারের অভিযোগ এনে এসিসিসি দাবি করেছে, এই আইনের কারণে সেবার জন্য অস্ট্রেলিয়ানদেরকে কোনো অর্থ দিতে হবে না মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে বা কোনো ব্যক্তিগত ডেটা শেয়ার করতে হবে না।
বিবৃতিতে এসিসিসি চেয়ারম্যান রড সিমস বলেন, “গুগল সেবায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া সাংবাদিকতার কাজের জন্য ন্যায্য অর্থ নিতে দর কষাকষি করতে পারে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ ব্যবসাগুলো।”