ব্লুটুথভিত্তিক কনট্যাক্ট-ট্রেসিং প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত এবং অর্থপূর্ণ পরিসরে ব্যবহার করা যেতে পারে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাইক্রোসফট প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ।
Published : 22 May 2020, 06:35 PM
এমআইটি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরি পরিচালক, দানিয়েলা রুসের সঙ্গে কথপোকথনে ব্লুটুথভিত্তিক কোভিড-১৯ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে সমালোচনা করেন স্মিথ-- খবর আইএএনএস-এর।
ভার্চুয়াল আলোচনায় মাইক্রোসফট প্রেসিডেন্ট বলেন, “এমন নয় যে, সবাই তার ফোনে একটি অ্যাপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করবেন। আমার মনে হয়, আমাদের বুঝতে হবে এটি একটি টুল, কোনো ওষুধ নয়।”
বুধবারই কনট্যাক্ট-ট্রেসিংয়ে নিজেদের প্রযুক্তি উন্মুক্ত করেছে দুই প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল এবং গুগল। গ্রাহকের গোপনতা রক্ষা করে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো যাতে তাদের ব্লুটুথভিত্তিক কোভিড-১৯ অ্যাপগুলো আরও কার্যকর করতে পারে সে লক্ষ্যেই এই প্রযুক্তি উন্মুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠান দু’টি।
ইতোমধ্যেই অ্যাপল-গুগলের কনট্যাক্ট-ট্রেসিং প্রযুক্তির এপিআইয়ের জন্য আবেদন করে অ্যাকসেস পেয়েছে ২৩টি দেশ। সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি বছর মার্চে একটি চ্যাটবট বানিয়েছে মাইক্রোসফট। আপনার কোভিড-১৯ পরীক্ষার দরকার আছে কি না, তা বলে দেবে এই অ্যাপটি।
ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একটি হাসপাতালে অ্যাপটি প্রথম চালু করে মাইক্রোসফট। পরে আরও বিস্তৃত পরিসরে এটি উন্মুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এমআইটির তথ্যমতে, এপ্রিলে মাইক্রোসফটের চ্যাটবটটি ব্যবহার করা হয়েছে ১৯ কোটি বার। ২৩টি দেশের দেড় হাজার প্রতিষ্ঠানে চলছে অ্যাপটি।
কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার বিষয়ে স্মিথ বলেন, “বাসা থেকে কাজ করার অনেক লাভ আছে, কিন্তু কিছু অনিশ্চয়তাও রয়েছে।”
স্থায়ীভাবে কিছু কর্মীকে বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। আর পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে অর্ধেক কর্মী বাসা থেকে কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছে ফেইসবুক।