স্বাস্থ্য খাতকে লক্ষ্য বানাচ্ছে সাইবার গুপ্তচররা, এমন যৌথ সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড-১৯ এর ডেটা এবং টিকা বিষয়ে গবেষণাসহ এই খাতের সম্ভাব্য সকল তথ্যের খোঁজ করছে বিদেশি রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট হ্যাকাররা।
Published : 06 May 2020, 08:51 PM
যুক্তরাজ্যে এ বিষয়ে এক সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের অনেক কার্যক্রম তাদের নজরে এসেছে। তবে, এখন পর্যন্ত ডেটা বেহাতের ঘটনা সম্ভবত ঘটেনি-- খবর বিবিসি’র।
এই কার্যক্রমে কোন কোন দেশের হাত রয়েছে তা নির্দিষ্ট করে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়নি। তবে, এর মধ্যে চীন, রাশিয়া এবং ইরান রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর ভয়াবহ অবস্থা দেখেছে তিন দেশই। আগে তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের দাবি নাকচ করেছে দেশগুলো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, এই দুটি দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যৌথ সতর্কবাণীতে বলছে, বেশ কিছু ঘটনা তদন্ত করছে দেশদুটি যেখানে অন্যান্য রাষ্ট্র এই দুটি দেশের ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, মেডিক্যাল গবেষণা সংস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থাপনাকে লক্ষ্য বানাচ্ছে। এই স্থাপনাগুলোতে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণাসহ মেধাসত্ত্ব সম্পত্তি এবং সংবেদনশীল ডেটার খোঁজ করছে হ্যাকাররা।
কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলা এবং গবেষণায় অন্যান্য দেশগুলো কী করছে তা বুঝতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল প্রাধান্য এখন স্বাস্থ্য খাত।
পরামর্শ ও সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে সংকটের শুরু থেকেই স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি)।
নতুন যৌথ সতর্কবার্তা এসেছে ব্রিটেনের এনসিএসসি’র মতো মার্কিন সংস্থা সাইবার-সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির (সিআইএসএ) সঙ্গে মিলে। ঝুঁকি বিষয়ে বাড়তি সচেতনতা ব্যবস্থা নেওয়াই এই বার্তার উদ্দেশ্য।
গত সপ্তাহেই বিবিসিকে জেষ্ঠ্য মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিল ইভানিনা বলেন, “আজকের বিশ্বে, করোনাভাইরাসের টিকা বানাতে সহায়তা করবে এমন যেকোনো বায়োমেডিক্যাল গবেষণার তথ্য চুরি করার চেয়ে মূল্যবান কিছু হতে পারে না।”
মঙ্গলবার প্রতিদিনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক র্যাব বলেন “বাস্তবিক উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি, সাইবার হামলা যারা চালায় তাদের প্রতিহত করতে কাজ চালিয়ে যাবে যুক্তরাজ্য।”
টিকা বানানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে রয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। আর মহামারীর মডেলিংয়ের মাধ্যমে নীতিমালা নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পরামর্শ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
"সাইবার গুপ্তচররা সরবরাহ চেইনকেও লক্ষ্য বানাচ্ছে এবং মানুষ যে বাড়ি থেকে কাজ করছে সেটির সুযোগও নিচ্ছে। পাসওয়ার্ড-স্প্রেয়িং কৌশলের মাধ্যমে এই কাজের চেষ্টা করছে তারা। সাধারণত যে পাসওয়ার্ডগুলো বেশি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে প্রবেশের চেষ্টা করা হয় পাসওয়ার্ড-স্প্রেয়িং কৌশলে।"
অন্যদিকে পশ্চিমা গুপ্তচরদের নজর থাকবে চীনের ওপর। করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বেইজিং কী জানে সম্ভবত তা খোঁজার চেষ্টা চলছে। মার্কিন প্রশাসন বারবারই বলে আসছে, ভাইরাসটি চীনের ল্যাব থেকে বের হয়েছে এমনটা হতেও পারে।
আরও খবর-