নভেল করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট হ্যাকিং ঠেকাতে প্রায় চারশ’ স্বেচ্ছাসেবক মিলে তৈরি করেছেন আন্তর্জাতিক গ্রুপ ‘কোভিড ১৯ সিটিআই লিগ’।
Published : 26 Mar 2020, 03:09 PM
ওই গ্রুপের চারশ’ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে অ্যামাজন, মাইক্রোসটের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্যেষ্ঠ পদমর্যাদার পেশাদাররা রয়েছেন বলে জানা গেছে। সবমলিয়ে ৪০টিরও বেশি দেশের নাগরিক শামিল হয়েছেন এ লড়াইয়ে, প্রায় প্রত্যেক সদস্যরই রয়েছে সাইবারনিরাপত্তা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা। গ্রুপের নামে সিটিআই অংশটি আদতে ‘সাইবার থ্রেট ইন্টিলিজেন্স’-এর সংক্ষিপ্তরূপ। -- খবর সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের।
‘কোভিড ১৯ সিটিআই লিগ’ –প্রচেষ্টার প্রাথমিক ব্যবস্থাপক রয়েছেন চারজন। ওই চারজনের একজন মার্ক রজার্স জানিয়েছেন, মেডিক্যাল সুবিধা ও চলমান মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে রয়েছে এমন সংস্থা ও ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে চালানো সাইবার আক্রমণ ঠেকানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য সংস্থায় হ্যাকিং নিয়েও কাজ করা শুরু করেছে গ্রুপটি।
রজার্স আরও জানিয়েছেন, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও সেবাগুলোর প্রতিরক্ষার জন্য কাজ করবে তাদের গ্রুপটি। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা হ্যাকিং কনফারেন্স ডেফ কনের নিরাপত্তা প্রধান ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অক্টা’র ভাইস- প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন রজার্স।
ইন্টারনেট দুনিয়ায় কোভিড-১৯ আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে চলমান আর্থিক অপরাধ শনাক্ত করতে ও ফিশিং আক্রমণে ইতি টানতেও কাজ করছে নতুন গঠিত এই সংগঠনটি।
“আমি কখনও এতো ফিশিং হতে দেখিনি। আক্ষরিক অর্থেই যতগুলো পথ রয়েছে, সবগুলোতেই ফিশিং বার্তা দেখছি।” – বলেছেন রজার্স। উল্লেখ্য, ফিশিং বার্তার মাধ্যমে পাসওয়ার্ড ও স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। পরে ওই পাসওয়ার্ড বা তথ্যগুলো ব্যাংক, ইমেইল বা অন্যান্য অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশ করায় ব্যবহৃত হয়।
উদ্যোগটিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সাধুবাদ জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন রজার্স। কোভিড-১৯ সিটিআই লিগ প্রসঙ্গে রজার্স মন্তব্য করেছেন, “আমি কখনও এই মাত্রায় সহযোগিতার হাত বাড়াতে দেখিনি। আশা করি, পরবর্তীতেও এটি চলমান থাকবে, কারণ এটি সুন্দর একটি জিনিসে পরিণত হয়েছে।”