সাবেক কর্মী আর প্রতিষ্ঠানটির বাইরের কারও কাছে জাকারবার্গ-এর পাঠানো মেসেজ গ্রাহকদের ইনবক্স থেকেও মুছে দিয়েছে ফেইসবুক। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি নিজেই এমন কথা স্বীকার করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ।
কিন্তু ফেইসবুক কেন এই কাজ করলো? প্রতিষ্ঠানটির জবাব হচ্ছে ‘কর্পোরেট নিরাপত্তা’র কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জাকারবার্গের সেসব আলাপচারিতা মুছে ফেলার বিষয়ে আগে কখনোই প্রকাশ্যে কোনো তথ্য জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৪ সালে সনি পিকচার্স হ্যাকিংয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মুক্তি না দেওয়া একটি সিনেমা আর আর গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। সে বিষয়ের কথা উল্লেখ করা ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, “২০১৪ সালে সনি পিকচার্স-এর ইমেইল হ্যাকড হওয়ার পর আমাদের কর্মকর্তাদের যোগাযোগ সুরক্ষায় আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এর মধ্যে মেসেঞ্জারে জাকারবার্গের মেসেজ কতক্ষণ থাকবে সে সময়সীমা সীমিত করে দেওয়ার পদক্ষেপও ছিল। মেসেজ সংরক্ষণে আমাদের জন্য থাকা আইনি বাধ্যবাধকতার পুরোটা মেনেই আমরা এ কাজ করেছি।”
যদিও টেকক্রাঞ্চ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেইসবুকের নীতিমালায় কোনো কনটেন্ট প্রতিষ্ঠানটির ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ লঙ্ঘন না করলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে তা সরানোর অধিকার দেওয়া হয় না।
প্রযুক্তি সাইট দ্য নেক্সট ওয়েব-এর খবরে বলা হয়, ক্ষতিকর ও ভুল তথ্যের কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের মেসেঞ্জার আলাপচারিতা স্ক্যান করে। এর মানে হচ্ছে ফেইসবুকের এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত ব্যবস্থা ব্যবহারকারীদের মেসেজ বিশ্লেষণ করে। আর সেখান থেকে কোনো মেসেজ শনাক্ত করলে তা ফেইসবুকের নির্ধারতি কর্মীরা পড়ে দেখেন। এই তথ্য স্বীকারের এক দিন পরই জাকারবার্গ-এর মেসেজ মুছে দেওয়ার খবর এলো।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের মেসেজ মুছে ফেলে ফেইসবুকের কী লাভ হয়েছে তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে, শংকার বিষয় হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি এখন উপযুক্ত মনে না করলে যে কোনো ব্যবহারকারীর ইনবক্সের মেসেজে পরিবর্তন আনতে পারে।
আরও খবর-