শিশুদের জন্য তৈরি স্মার্টওয়াচের বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে জার্মান সরকার।
Published : 18 Nov 2017, 08:15 PM
এ ধরনের স্মার্টওয়াচ গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করা হয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে দেশটির নীতিনির্ধারক সংস্থা। এর আগে একই কারণে ইন্টারনেটযুক্ত পুতুল ‘মাই ফ্রেন্ড সায়লা’ নিষিদ্ধ করেছিল দেশটি, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
দেশটির টেলিযোগাযোগ সংস্থা ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি বাবা-মা’দের নির্দেশ দিয়েছে যাদের এ ধরনের স্মার্টওয়াচ রয়েছে সেগুলো নষ্ট করে ফেলতে।
এ বিষয়ে পেন টেস্ট পার্টনারস-এর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কেন মুনরো বলেন, এই সিদ্ধান্ত ইন্টারনেটযুক্ত ডিভাইসের জন্য ‘গেইম-চেঞ্জার’ হতে পারে।
মুনরো বলেন, “কম সুরক্ষিত স্মার্ট ডিভাইসগুলো গোপনীয়তার জন্য প্রায়ই হুমকি হতে পারে। এটি তখন সত্যিই চিন্তার বিষয় যখন শিশুদের জিপিএস ট্র্যাকিং ওয়াচের কথা বলা হয়, যে ওয়াচগুলো তাদের নিরাপদ রাখতে সহায়তা করার কথা।”
“ইন্টারনেট অফ থিংস নিয়ে নীতিমালায় সাংঘাতিক ঘাটতি রয়েছে, যা নির্মাতাদেরকে বিপদজনকভাবে অনিরাপদ স্মার্ট পণ্য বিক্রি করার সুযোগ দেয়,” যোগ করেন তিনি।
জার্মান ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্টারনেটে এ ধরনের স্মার্টওয়াচ বিক্রি করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তারা ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি’র প্রেসিডেন্ট জোসেন হমান বলেন, “একটি অ্যাপের মাধ্যমে বাবা-মা শিশুদের চারপাশের কথাবার্তা শুনতে পারেন এবং এতে অননুমোদিত ট্রান্সমিটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।”
“আমাদের গবেষণা বলছে- বাবা মা স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের কথাও শুনে থাকেন।”
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন স্মার্টওয়াচের ব্যবহার বন্ধে স্কুলগুলোকেও বাড়তি নজর দিতে বলেছে সংস্থাটি।
জার্মানিতে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদেরকে লক্ষ্য করে এমন হাজারো নামের স্মার্টওয়াচ বিক্রি করা হচ্ছে।
বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচেই সিম কার্ড থাকে এবং এতে সীমিত পরিসরে ফোন করার সুবিধা থাকে। অ্যাপ দিয়ে এগুলো সেট আপ ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
দুর্বল নিরাপত্তার কারণে মৌলিক হ্যাকিং কৌশল ব্যবহার করেই শিশুদেরকে ট্র্যাক করতে পারেন হ্যাকাররা।