২০১৫ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান বার্নার্ডিনো-তে চালানো হত্যাযজ্ঞের শিকার হওয়া তিনজনের পরিবারের সদস্যরা ফেইসবুক, গুগল আর টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক মাধ্যমে উগ্রপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-কে তাদের প্রচারণা চালানোর অনুমতি দিয়েছে বলেই দাবি তাদের।
Published : 05 May 2017, 06:49 PM
সামাজিক মাধ্যমে মুক্তভাবে ইসলামিক স্টেট-কে প্রজ্ঞাপন ছড়াতে দেওয়ার মাধ্যমে এই তিন প্রতিষ্ঠান সংগঠনটিকে ‘বস্তুগত সমর্থন’ দিয়েছে আর এর ফলেই তারা স্যান বার্নার্ডিনোর মতো আক্রমণ চালাতে সক্ষম হয়েছে- এমনটাই দাবী ওই স্বজনদের।
সিয়েরা ক্লেবর্ন, টিন এনগুয়েন আর নিকোলাস থ্যালাসিনোস-এর পরিবারের পক্ষ থেকে করা ৩২ পৃষ্ঠার ওই অভিযোগে বলা হয়, “বছরের পর বছর আসামিরা জেনে ও বেপরোয়াভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস-কে সামাজিক মাধ্যমগুলোর অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের চরমপন্থী প্রজ্ঞাপন ছড়াতে উপায় করে দিয়েছে।” যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস-এর জেলা আদালতে বুধবার এই অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, “টুইটার, ফেইসবুক আর গুগল (ইউটিউব) ছাড়া, শেষ কয়েক বছরে বিশ্বে আইএসআইএস-এর সবচেয়ে ভয়ানক দলে পরিণত হওয়া সম্ভব ছিল না।”
২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক আর তার স্ত্রী তাশফিন মালিক গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করেন, এ ঘটনায় আহত হন আরও ২২ জন। ২৮ বছর বয়সী ফারুক পাকিস্তানি অভিবাসী ও ২৯ বছর বয়সী মালিক একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ছিলেন। তারা দুজনেই ওই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
এই দম্পতি ইসলামি উগ্রপন্থীদের কাছ থেকে উৎসাহিত হয়ে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন বলে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়।
এর আগে নাইটক্লাবে খুন হওয়া তিন ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে একই অভিযোগ এনে টুইটার, গুগল আর ফেইসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।