বাতিল হওয়া লাখ লাখ স্যামসাং নোট ৭ কীভাবে ধ্বংস করা হবে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলেছে পরিবেশবাদী সংস্থা 'গ্রিনপিস'।
Published : 02 Nov 2016, 10:27 PM
আগুন ধরে যাওয়ার অভিযোগে বাতিল করা স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট ৭-এর জন্য ইতোমধ্যে স্যামসাংয়ের সুনাম আর মুনাফার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এর পরবর্তী প্রভাব পড়তে যাচ্ছে পরিবেশের উপরও- এমনটাই উঠে এসেছে ব্যবসায়-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।
'গ্রিনপিস'-এর মতে, যদি স্যামসাং তাদের বাতিলকৃত পণ্য ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে প্রায় ২৮টি জাহাজের কনটেইনারের সমপরিমাণ বর্জ্য সৃষ্টি হবে হবে। ব্যাটারি চার্জার ছাড়াই বর্জ্যের পরিমাণ এমন হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
একের পর এক ফোন বিস্ফোরণ আর আগুন ধরে যাওয়াবিষয়ক অভিযোগ আসার পর অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানটি তাদের নির্মিত স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ বিক্রি আর উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি নোট ৭ বিক্রি করে ফেলেছিল। গ্রিনপিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আরও ১৩ লাখ অবিক্রিত নোট ৭ রয়েছে। জার্মান গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর দেওয়া তথ্য থেকে গ্রিনপিসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, এই পরিমাণ ফোনে রয়েছে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কোবাল্ট, এক মেট্রিক টন টাংস্টেন, প্রায় ১০০ কেজি সোনা আর ১০০০ কেজিরও বেশি রূপা।
মঙ্গলবার স্যামসাং জানায়, তারা গ্রিনপিস-এর গবেষকদের করা পর্যালোচনা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু এই বিষয়ে তারা আর কোনো মন্তব্য করেনি।
বাতিলকৃত ফোনগুলোর যন্ত্রাংশ যথাসম্ভব পুনরায় ব্যবহারোপযোগী করে তুলতে স্যামসাং-কে পরামর্শ দিয়েছে গ্রিনপিস। তাদের প্রতিবেদনে মূলত তুলে ধরা হয়েছে যে, এই ফোনে ব্যবহৃত ধাতব আর অন্যান্য উপাদান মানুষ আর পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
"তারা তাড়াহুড়া করে এসব ফোন নির্মাণ করেছিল কারণ তারা চাচ্ছিল আইফোন ৭-এর আগে তাদের ফোন চালু করতে। এটিই তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে", বলেন গ্রিনপিস-এর পূর্ব-এশিয়ার মুখপাত্র এলেনা ডি ম্যাটিও বলেন।