সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে ‘সাইবার যুদ্ধ’ চালু করার ঘোষণা দেওয়ার পর তাদের সাইট ও অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আর সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে মানুষদের সতর্ক করে পরিচয় গোপন রাখা হ্যাকিং গ্রুপ অ্যানোনিমাস ‘ভালোই দেখাচ্ছে’ বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু তাদের পদক্ষেপকে ভুল দাবি করে নিজেদের পদ্ধতিকে আরও বেশি কার্যকরী দাবি করেছে আরেকটি ছোট হ্যাকিং গ্রুপ।
Published : 26 Nov 2015, 05:11 PM
অ্যানোনিমাসকে খোঁচা দিয়ে ঘোস্ট সিকিউরিটি গ্রুপ (জিএসজি) নামের ওই দলের নির্বাহী পরিচালক বলেন, “তাদের কোনও সন্ত্রাসবিরোধী অভিজ্ঞতাই নেই।” কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ আর সন্ত্রাসবিরোধী স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বানানো এই দলের কেউ কেউ আগে অ্যানোনিমাসে কাজ করতেন। আইএস সদস্যদের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করতে আর দলের এক একজন দিনে ১৬ ঘন্টা করে সময় দেয় বলে জানিয়েছে সিএনএন।
এই পদ্ধতি জঙ্গি ওয়েবসয়াইটগুলো অফলাইনে নিতে ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস (ডিডিওএস)’ চালুর পদ্ধতির বিপরীত। জিএসজি পরিচালক বলেন, “আমি মনে করি না ডিডিওএস আক্রমণ আইএসের খুব বড় কোনো ক্ষতি করবে।”
সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদলগুলোর ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যদি এক সপ্তাহের মধ্যে তারা আমাদের কথা না শোনে, তবে আমরা জোর করে সেগুলো বন্ধ করে দেব। কিন্তু যদি কোনোটি গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত থাকে তবে তা আমরা অক্ষত রাখব।” চলতি বছর গ্রীষ্মের তিউনিশিয়া ঘটনা থেকে সম্ভাব্য আরেকটি সাইবার হামলা টুইটার পর্যবেক্ষণ করে ঠেকানোর দাবি করেছে গ্রুপটি।
জিএসজি আর প্রচারকারীদের তথ্য দেওয়া কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতাকারী, একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, “এই মানুষগুলো অনেকের জীবন বাচিঁয়েছে।
সরকারি সহায়তা চেয়ে জিএসজি পরিচালক বলেন, “মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ না করতে পারলে আমরা কিছু করতে পারব না। সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে তাদের কাছে বন্দুক আর বুট রয়েছে।”