দান পরিকল্পনার খুঁটিনাটি জানাননি বেজোস। তবে, এর বড় একটা অংশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং জনহিতকর কাজে ব্যয়ের জন্য দেবেন তিনি।
Published : 15 Nov 2022, 11:13 AM
সম্পদের সিংহভাগ দান করে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য বলছে, বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন তিনি।
সম্পদ দান পরিকল্পনার খুঁটিনাটি জানাননি বেজোস। তবে, এর বড় একটা অংশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং জনহিতকর কাজে ব্যয়ের জন্য দান করবেন বলে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি।
বর্তমানে বেজোসের সম্পদের মূল্য ১২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। এই প্রথমবারের মতো নিজের বিপুল পরিমান সম্পদ থেকে সিংহভাগ দান করার কথা বললেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সিএনএনের সংবাদকর্মী ক্লোই মেলাস বেজোসের অর্থ-সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না প্রশ্ন তোলার পর উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, তাই করতে চাই।”
“কঠিন বিষয়টা হচ্ছে কাজটা নিয়ন্ত্রিতভাবে করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে… এটা সহজ নয়। অ্যামাজন নির্মাণও সহজ ছিল না। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, দলে বুদ্ধিমান কর্মীদের লেগেছে এবং এখন আমার উপলব্ধি হচ্ছে জনহিতকর কাজে দান করাও একই রকমের।”
“নানাভাবে অকার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করি আমি। তাই, অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা নির্মাণ করছি আমরা,” যোগ করেন তিনি।
জনহিতকর কাজে নিজের সম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন – এমন শীর্ষ ধনীদের তালিকায় সর্বশেষ হিসেবে নাম লেখালেন বেজোস। এর আগে কার্যত নিজের সম্পদের পুরোটাই ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের’ মাধ্যমে দান করে দেওয়ার কথা বলে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন আরেক প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বিল গেটস।
বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিমালিকানাধীন দাতব্য সংস্থা হিসেবে পরিচিতি আছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের। অন্যদিকে, বর্তমানে বিল গেটসের সম্পদের আকার ১১ হাজার ৪০০ কোটির ঘরে বলে ধারণা বাজার বিশ্লেষকদের।
‘দ্য গিভিং প্লেজ’ প্রকল্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন বিল গেটস। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জনহিতকর কাজে নিজের সম্পদের সিংহভাগ দান করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেররা।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, এখনও ‘দ্য গিভিং প্লেজ’-এর ধনকুবেরদের তালিকায় নাম লেখাননি বেজোস।
এর আগেও জনহিতকর কাজে বড় অংকের অর্থ দান করেছেন বেজোস। তবে, নিজের সম্পদের সিংহভাগ দান করে দেওয়ার কথা কখনোই বলেননি বা তেমন কোনো ইঙ্গিতও দেননি।
২০২০ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য ১ হাজার কোটি ডলার খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘বেজোস আর্থ ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে বেজোসের প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের ভূমিকাই প্রশ্নবিদ্ধ।
২০১৯ সালে বেজোস ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ ‘কার্বন নিউট্রাল’ কোম্পানিতে পরিণত হবে অ্যামাজন। কিন্তু পরের দুই বছরের কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে কার্বন নিঃসরণের হার বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
গত বছরেই অ্যামাজনের শীর্ষ নির্বাহীর পদ ছেড়েছেন বেজোস; তবে নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে এখনও ই-কমার্স জায়ান্টের সঙ্গেই আছেন তিনি।