এই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাইন্যান্সের সবচেয়ে বড় বাজার হয়ে উঠেছে চীন, যা কোম্পানির বৈশ্বিক লেনদেনের ২০ শতাংশ।
Published : 02 Aug 2023, 01:52 PM
২০২১ সালের পর থেকে ক্রিপ্টো মুদ্রার লেনদেন চীনে ‘অবৈধ’। তবে, সম্প্রতি দেশটির ব্যবহারকারীরা কেবল ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সেই মাসে নয় হাজার কোটি ডলারের লেনদেন করেছেন বলে খবর চাউর হয়েছে।
মঙ্গলবার বাইন্যান্সের সাবেক ও বর্তমান কর্মী এবং অভ্যন্তরীণ হিসাবের বরাতে মার্কিন বাণিজ্য দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদনে বলেছে, এই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাইন্যান্সের সবচেয়ে বড় বাজার হয়ে উঠেছে চীন, যা কোম্পানির বৈশ্বিক লেনদেনের ২০ শতাংশ। তবে, শীর্ষ কারবারীদের লেনদেন এর আওতাধীন নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জার্নাল।
তবে, এই লেনদেন কোন মাসে ঘটেছে, তা নির্দিষ্ট করে বলেনি সংবাদপত্রটি।
বাইন্যান্সের উৎপত্তি চীনে হলেও ২০১৭ সালে ক্র্যাকডাউন চলাকালীন দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানিটি। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে রয়টার্স মন্তব্য জানতে চাইলে সাড়া দেয়নি কোম্পানিটি।
“বাইন্যান্স ডট কম’ ওয়েবসাইটটি চীনে ব্লক করা। আর চীনের ব্যবহারকারীর প্রবেশাধিকারও নেই এতে।” – জার্নালকে বলেন কোম্পানির এক মুখপাত্র।
এদিকে, ‘কমোডিটি ফিউচার ট্রেডিং কমিশন (সিএফটিসি)’ ও ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র মতো মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তদন্তের মুখে পড়েছে এক্সচেঞ্জ কোম্পানিটি।
‘সিএফটিসি’ বাইনান্সের বিরুদ্ধে করা মামলায় একে এমন ‘অবৈধ’ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের কমপ্লায়েন্স সংশ্লিষ্ট নীতিমালায় ‘ফাঁকি’ দিয়েছে। অন্যদিকে, ‘এসইসি’ বাইন্যান্স ও কোম্পানির সিইও শাংপেং ঝাও’র বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ তুলেছে, কোম্পানিটি কৃত্রিম উপায়ে লেনদেনের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আর প্ল্যাটফর্মে মার্কিন গ্রাহকদের লেনদেন বন্ধ করতে না পারার পাশাপাশি বাজার নজরদারিবিষয়ক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে।
এ ছাড়া, সম্ভাব্য অর্থ পাচার ও নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের দায়ে এক্সচেঞ্জ কোম্পানিটি মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্তের মুখে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।