সংগঠনগুলো বলেছে, ক্রমশ বাড়তে থাকা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে তাদের সদস্যরা যেন বিভিন্ন ধরনের স্থিতিস্থাপক ক্লাউড প্রযুক্তিতে প্রবেশের সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Published : 18 Jun 2024, 03:33 PM
ইউরোপে ক্লাউড সেবার জন্য প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা স্কিম (ইইউসিএস)-এ অ্যামাজন, অ্যামাজন, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো টেক জায়ান্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিৎ নয়, সম্প্রতি এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শিল্প খাতের ২৬টি সংগঠন।
এদিকে, মঙ্গলবার এ স্কিম নিয়ে আলোচনায় বসবে ইউরোপীয় কমিশন, ইইউ’র সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ‘এনিসা’ ও ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলো। ২০২০ সালে এনিসা এর খসড়া প্রকাশের পর বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে এতে।
‘এনিসা’র লক্ষ্য হল, বিভিন্ন সরকার ও কোম্পানিকে নিজস্ব ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার জন্য সুরক্ষিত ও বিশ্বস্ত বিক্রেতা বাছাইয়ে সহায়তা দেওয়া। এদিকে, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বৈশ্বিক খাত থেকে বার্ষিক আয় শত শত কোটি ইউরো, যেখানে ভবিষ্যতে এর দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধিও আশা করা হচ্ছে।
মার্চ মাসে স্কিমের একটি সংস্করণ থেকে তথাকথিত সার্বভৌমত্ব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শর্ত ছেঁটে ফেলা হয়েছিল, যেখানে গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণে বিভিন্ন মার্কিন টেক জায়ান্টকে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার অথবা কোনো ইউরোপভিত্তিক কোম্পানির সঙ্গে সমন্বিত হয়ে কাজ করার শর্তও ছিল, যার মাধ্যমে তারা ইইউ’র সাইবার নিরাপত্তা মাপদণ্ডে সর্বোচ্চ স্তর অর্জনের যোগ্যতা পেত।
“আমাদের বিশ্বাস, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন ইইউসিএস নীতিমালা, যা ইউরোপে বিভিন্ন ক্লাউড সেবার অবাধ চলাচলকে সমর্থন করে, তা আমাদের সদস্য দেশগুলোকে স্থানীয় ও বৈদেশিকভাবে সমৃদ্ধ করতে, ইউরোপের বিভিন্ন ডিজিটাল লক্ষ্যমাত্রায় অবদান রাখতে এমনকি এ অঞ্চলের স্থিতিস্থাপকতা এবং সুরক্ষা জোরদার করার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে,” ইইউ’র সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক যৌথ চিঠিতে উল্লেখ করেছে দলগুলো।
“মালিকানা নিয়ন্ত্রণ ও ‘প্রোটেকশন এগেইনস্ট আনলফুল অ্যাক্সেস (পিইউএ)/ ‘ইমিউনিটি টু নন-ইইউ ল (আইএনএল)’, এ দুটো শর্তই সরিয়ে ফেললে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এ শিল্পের বিভিন্ন সেরা অনুশীলন ও অবৈষম্যমূলক নীতিমালার সঙ্গে ক্লাউড নিরাপত্তা খাতের অগ্রগতি সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
সংগঠনগুলো বলেছে, ক্রমশ বাড়তে থাকা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে তাদের সদস্যরা যেন বিভিন্ন ধরনের স্থিতিস্থাপক ক্লাউড প্রযুক্তিতে প্রবেশের সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ চিঠিতে স্বাক্ষর করা সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ইতালি, নরওয়ে, রোমানিয়া ও স্পেন অংশের ‘আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স’ ও ‘ইউরোপিয়ান পেমেন্ট ইনস্টিটিউশনস ফেডারেশন।
এ ছাড়া, অন্যদের মধ্যে রয়েছে ‘চেক কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি’, ডেনমার্কের ‘ডান্সক ইন্ডাস্ট্রি’, জার্মানির ‘বুন্দেসভারব্যান্ড ডয়েচার ব্যাংকেন’, ‘ডিজিটাল পোল্যান্ড অ্যাসোসিয়েশেন’, আইরিশ ব্যবসায়িক লবি গ্রুপ ‘আইবিইসি’, নেদারল্যান্ডসের ‘এনএল ডিজিটাল’ ও ‘স্প্যানিশ স্টার্টআপ অ্যাসোসিয়েশেন।
‘ডয়চে টেলিকম’, ‘অরেঞ্জ’ ও ‘এয়ারবাস’-এর মতো ইউরোপীয় ক্লাউড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোও ইইউসিএস-এ সার্বভৌমত্বের শর্ত রাখার জন্য চাপ দিয়েছে। কারণ তাদের আশঙ্কা, এমনটি না করলে ইইউ’র সদস্যভুক্ত নয় এমন দেশগুলো ইউরোপীয় নাগরিকদের ডেটায় বেআইনি উপায়ে প্রবেশাধিকার পেতে পারে।