টেলিফোন নম্বর, ঠিকানা, এমনকি জন্মদিনসহ বিভিন্ন তথ্য একটি ফাইল আকারে পাঠানো খুবই সহজ কাজ। আর এ ফাইল থেকে তথ্য সরাসরি সেইভ হবে ফোনে।
Published : 14 Aug 2024, 03:05 PM
নিজের কনটাক্ট বা যোগাযোগের সব তথ্য কারো সঙ্গে শেয়ার করতে চাইলে এবং একটি একটি করে তথ্য ফোনে টুকে রাখার ঝামেলা এড়াতে চাইলে কনটাক্ট শেয়ার করার পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
ফোন কল বা মেসেজ থেকে মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা সহজ। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না ল্যান্ড লাইন বা টেলিফোন নম্বর, ঠিকানা, এমনকি জন্মদিনসহ বিভিন্ন তথ্য একটি ফাইল আকারে পাঠানো একইরকম সহজ কাজ। আর এ ফাইল থেকে তথ্য সরাসরি সেইভ হবে ফোনে। এ বিষয়ে একটি নির্দেশনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরাডার। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর বিস্তারিত।
এ পদ্ধতি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই কাজ করবে।
১. কনটাক্ট অ্যাপ: প্রথমেই ফোনের কনটাক্ট অ্যাপ চালু করুন। এ অ্যাপের আইকনে সাধারণত একটি মানুষ বা মানুষের অবয়ব থাকে।
২. নিজের কনটাক্ট তথ্য বেছে নিন: কনটাক্ট অ্যাপটি চালু হলে, নিজের যোগাযোগের তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। এটি নিজের নাম, বা ‘মি’ বা ‘আমি’ এর অধীনে তালিকাভুক্ত হতে পারে। ফোনে নিজের বিশদ বিবরণ যেভাবে প্রবেশ করেছেন সেভাবেই দেখা যাবে। খুঁজে পেলে অপশনটির ওপরে চাপুন।
তবে, অনেকে এ অপশন নাও পেতে পারেন। এমন হলে, নিজের কনটাক্ট তথ্য আলাদাভাবে ফোনে সেইভ করুন। তারপর আবার চেষ্টা করুন।
৩. শেয়ার অপশন: কনটাক্ট-এর তথ্য চালু হলে, শেয়ার অপশন খুঁজুন। এর আইকন সাধারণত তিনটি সংযুক্ত বিন্দুর মত দেখতে হয়। গুগল পিক্সেল ফোনের ক্ষেত্রে, অপশনটি স্ক্রিনের ওপরে ডান কোণায় তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করলে এ অপশন পাবেন।
৪. শেয়ার অপশন বেছে নিন: শেয়ার আইকনে ক্লিক করার পরের মেনু থেকে ‘শেয়ার’ লেখা অপশনে ক্লিক করুন। এটি কনটাক্ট ইনফরমেশনগুলো শেয়ার করার জন্য তৈরি করে।
৫. তথ্য বেছে নিন: নিজের ঠিক কোন তথ্য শেয়ার করতে চান সেটি বেছে নিন। কেউ চাইলে সংরক্ষণ করা সব তথ্য পাঠাতে পারেন, অথবা নিজের পছন্দ মতো বেছে নিতে পারেন।
৬. শেয়ারিং পদ্ধতি নির্বাচন করুন: এবারে কনটাক্ট ইনফো শেয়ার করার একাধিক উপায় সামনে আসবে। এর মধ্যে মেসেজিং অ্যাপ, ইমেইল, ব্লুটুথসহ বিভিন্ন উপায় থাকতে পারে। নিজের ও প্রাককের সুবিধামত সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধটিতি বেছে নিন। কেউ অনিশ্চিৎ হলে, টেক্সট মেসেজ বা ইমেইল ভালো অপশন হতে পারে।
৭. তথ্য শেয়ার করুন: পদ্ধতি বেছে নেওয়ার পর একজন প্রাপক নির্বাচন করতে হবে। যে পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন, তার ওপর নির্ভর করে এখানে প্রাপকের নাম, ফোন নম্বর লেখা, বা ইমেইল লিখতে হতে পারে।
এবারে একটি ডিজিটাল কার্ড (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে vCard বা .vcf ফাইল) আকারে যোগাযোগের তথ্যসহ একটি ফাইল সামনে আসবে। কেউ চাইলে এখানে মেসেজও যোগ করতে পারেন। এরপর ‘সেন্ড’ বোতামে চাপুন। এরপর প্রাপক সেই কনটাক্ট তথ্য পেয়ে যাবেন, যা খুব সহজেই ফোনে সেইভ করে রাখতে পারবেন।