নির্বাচনী প্রচারণার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
Published : 11 Nov 2024, 04:03 PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পরপরই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোমুদ্রা বিটকয়েনের দাম ৮১ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে।
সোমবার বিটকয়েনের দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি মার্কিন কংগ্রেসে ক্রিপ্টোপন্থী প্রার্থীদের ফিরে আসা এ খাতের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
বছরের শুরুতে বিটকয়েনের দাম ছিল ৩৮ হাজার ৫০৫ ডলার, যেখানে এর সর্বশেষ দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে এখন পৌঁছেছে ৮১ হাজার ৫৭২ ডলারে। এমনকি এর আগে ৮১ হাজার ৮৯৯ ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ডমূল্যেও পৌঁছেছে বিশ্বের বৃহত্তম ও সর্বাধিক পরিচিত ক্রিপ্টোমুদ্রাটি।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডিজিটাল সম্পদ নিয়ে ইতিবাচক কথা বলার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া, বিটকয়েনের জন্য একটি জাতীয় কোষাগার তৈরির কথাও বলেছেন তিনি।
এদিকে, নির্বাচনের পর অন্যান্য তথাকথিত ‘ট্রাম্প ট্রেডস’ মার্কিন শেয়ারবাজারে কিছুটা খেই হারালেও ক্রিপ্টোমুদ্রার দাম বেড়েই চলেছে।
“বিটকয়েনের ‘ট্রাম্প-পাম্প’ নিজের গতিতেই চলছে, যেখানে রিপাবলিকানরা মার্কিন কংগ্রেসে লাল পতাকা নিয়ে যাওয়ার কাছাকাছি। ক্রিপ্টোজনতা হয়ত ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করার পক্ষে বাজি ধরেছে,” মার্কিন ‘হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস’ ও ‘সেনেট’ উভয় কক্ষে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ চলে আসার বিষয়টি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন আর্থিক পরিষেবা কোম্পানি ‘সিটি ইন্ডেক্স’-এর জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন।
মার্কিন নির্বাচনে ক্রিপ্টোপন্থী কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনের জন্য গোটা ক্রিপ্টো খাতের খরচ ছিল ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি, যা সিংহভাগ ক্ষেত্রে সফলই বলা যায়।
মার্কিন কংগ্রেসে ক্রিপ্টো খাতের অন্যতম বড় শত্রু হিসেবে বিবেচিত ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সেনেট ব্যাংকিং কমিটি প্রধান শেরড ব্রাউনকে ছাঁটাই করা হয়েছে, যেখানে মিশিগান, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, অ্যালাবামা ও নর্থ ক্যারোলােইনার ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান উভয় দলের ক্রিপ্টোপন্থী প্রার্থীরা নির্বাচনে জয় পেয়েছে।
এদিকে, সেপ্টেম্বরে ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’ নামের নতুন একটি ক্রিপ্টো ব্যবসাও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তবে, এ ব্যবসার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থাকলেও বিনিয়োগকারীরা এরইমধ্যে এ খাতের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।