সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর চ্যালেঞ্জার হিসেবে গত বছরের ৫ জুলাই বিভিন্ন অ্যাপ স্টোরে আগমন ঘটেছিল থ্রেডসের।
Published : 04 Jul 2024, 02:25 PM
সম্প্রতি সাড়ে ১৭ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক অতিক্রম করেছে মেটার সবচেয়ে সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থ্রেডস।
বুধবার থ্রেডসের প্রথম বর্ষপূর্তির আগেই এ খবর প্রকাশ করেছেন মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।
এর আগে ‘টুইটার’ নামে পরিচিতি পাওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর চ্যালেঞ্জার হিসেবে গত বছরের ৫ জুলাই বিভিন্ন অ্যাপ স্টোরে আগমন ঘটেছিল থ্রেডসের, যার লক্ষ্য ছিল, মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর মাইক্রোব্লগিং সাইটটি থেকে বেড়িয়ে আসতে চাওয়া ব্যবহারকারীদেরকে আকৃষ্ট করা।
উন্মোচনের এক সপ্তাহের কম সময়ে ১০ কোটি ব্যবহারকারী পেয়েছিল থ্রেডস, যেখানে আংশিকভাবে কাজ করেছে মেটার আরেক জনপ্রিয় অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম থেকে থ্রেডসে প্রোফাইল খোলা সহজ, সে বিষয়টি। কিন্তু শুরুর দিকে পর্যাপ্ত ফিচার না থাকায় পরবর্তীতে অনেক প্রাথমিক ব্যবহারকারীকেই অ্যাপটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখা যায়।
“কী একটা বছর!” এপ্রিলে থ্রেডসে দেওয়া এক পোস্টে বলেন জাকারবার্গ, যেখানে তিনি থ্রেডসের ১৫ কোটি ব্যবহারকারী ছাড়ানোর পরিসংখ্যানও দেখান।
রয়টার্স বলছে, মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা থেকে থ্রেডসের জনপ্রিয়তার সীমিত প্রেক্ষাপটই তুলে ধরা সম্ভব, যেখানে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ও অ্যাপে ব্যবহারকারী প্রতি গড় সময় কাটানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি।
বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি সেন্সর তাওয়ারের তথ্য অনুসারে, আন্তর্জাতিক বিস্তৃতি ও বিভিন্ন নতুন ফিচার থ্রেডসে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ালেও এতে সম্পৃতা বাড়াতে কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিকে।
তারা আরও যোগ করেন, গত মাসে ব্যবহারকারীরা গড়ে দৈনিক তিনবার থ্রেডসে প্রবেশ করেছেন ও সাত মিনিট সময় কাটিয়েছেন, যা গত বছরের জুলাইয়ের হিসাব থেকে যথাক্রমে ৭৯ শতাংশ ও ৬৫ শতাংশ কম।
“উন্মোচনের এক বছর পরও, আমরা জানি থ্রেডস কী নয়! কিন্তু এটা আসলে কী, সেটাও আমরা জানি না,” বলেন ইমার্কেটার বিশ্লেষক জেসমিন এনবার্গ।
তিনি আরও যোগ করেন, থ্রেডসের অগ্রগতিতে বাধা হয়ে আছে সম্ভবত এর জন্য কোনো দিক নির্দেশনা ও মৌলিক কনটেন্ট না থাকার বিষয়টি।
“মেটা নিশ্চয়ই ভাবছে, থ্রেডসকে একটি স্ট্যান্ডঅ্যালোন অ্যাপ হিসেবে রাখা যুক্তিসঙ্গত কি না বা এর সম্পৃক্ততা ইনস্টাগ্রামেই ফিরিয়ে নেওয়া উচিৎ। তবে সুখবর হল, এতে বিজ্ঞাপনদাতাদের আগ্রহ অনেক বেশি।”