গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে মাইক্রোসফটের শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক পার্টনারদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হিসেবে উদয় ঘটেছে ইসরায়েলের।
Published : 25 Jan 2025, 03:08 PM
গাজায় গণহত্যার যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের সঙ্গে মাইক্রোসফটের গভীর সম্পর্কের তথ্য সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে এক নথিতে।
ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে ক্লাউড পরিষেবা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে মাইক্রোসফটের। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে দেশটির প্রতি মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্টির সমর্থন নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।
রাজনীতি ও যুদ্ধবিষয়ক স্বাধীন সংবাদসাইট ‘ড্রপ সাইট নিউজ’-এর পাওয়া নথিতে উঠে এসেছে, গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে মাইক্রোসফটের শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক পার্টনারদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে উদয় ঘটেছে ইসরায়েলের, যেখানে প্রকৌশল সহায়তা ও পরামর্শ বিষয়ে খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি ডলার।
এ বিষয়ে এখনও প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট। মন্তব্যের জন্য তুরস্কের সরকারি সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর অনুরোধেও সাড়া দেয়নি টেক জায়ান্টটি।
২০২৪ সালে তিন কোটি ডলারের অতিরিক্ত সহায়তা প্রকল্প বিবেচনাধীন থাকায় প্রযুক্তি কোম্পানিটির সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তির মোট দাম কতো হতে পারে তা ফাঁস হওয়া নথি থেকে নির্ধারণ করা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর মূল্য অনেক।
প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মাইক্রোসফট পরিষেবার ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে ক্লাউড স্টোরেজের ব্যবহার বেড়েছে ১৫৫% এরও বেশি, যা ২০২৪ সালের মে মাসে রাফা আক্রমণের ঠিক আগে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পরিষেবার মধ্যে রয়েছে অনুবাদের টুল ও অ্যাজিউর ওপেনএআই, যা ব্যবহৃত হয়েছে মোট সামরিক ব্যবহারের প্রায় ৭৫ শতাংশ।
গাজার যুদ্ধকে সামরিক চুক্তি খুঁজতে চাওয়া বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ‘গোল্ড রাশ’ হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে, যেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য অনেক ছাড় দিয়েছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের সঙ্গে সম্পর্কের পরিধি স্পষ্ট করতে আনাদোলুর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।”