বর্তমানে ইনস্টাগ্রামের অন্যতম বড় টুল হল স্টোরি। স্টোরির মাধ্যমেই কনটেন্ট আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
Published : 17 Nov 2024, 03:05 PM
ইনস্টাগ্রামের অন্যতম প্রধান বিষয় হল অ্যাকাউন্টের রিচ বা ভিউ, অর্থাৎ কতজন ব্যবহারকারী রোজ একটি অ্যাকাউন্টের কনটেন্ট দেখছেন।
বিশেষ করে, যারা কনটেন্ট তৈরি করেন বা অনলাইনে ব্যবসা করেন তাদের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়ই কতজন ব্যবহারকারী দৈনিক অ্যাকাউন্ট ঘুরে দেখছে, তার ওপরেই নির্ভর করতে পারে আয়।
কীভাবে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের রিচ বা এনগেজমেন্ট বাড়ানো যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ের সহজ কিছু টিপস।
ভালো মানের ছবির কনটেন্ট
ইনস্টাগ্রামের অন্যতম বড় জায়গা ছবি। দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় ছবির কনটেন্ট তৈরি করুন, কারণ প্রতিটি লাইকের কারণে ভিউ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। উজ্জ্বল ও পরিষ্কার ছবি সাধারণত বেশি লাইক পায়। অন্ধকার, ঝাপসা ও অপ্রাসঙ্গিক ছবি মুছে ফেলুন।
প্রতারণা করা যাবে না
অনেকেই সহজে অ্যাকাউন্ট ভিউ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ফাঁকিবাজির আশ্রয় নেন। যেমন অর্থ দিয়ে ফলোয়ার কেনা, ‘বট’ বা কৃত্রিম ব্যবহারকারীর মাধ্যমে রিচ বাড়ানোর চেষ্টা করা, ইত্যাদি। যদি অ্যাকাউন্টে অনেক নিষ্ক্রিয় বা সন্দেহজনক গ্রাহক থাকে, সেগুলো মুছে ফেলুন। যে ব্যবহারকারীরা কনটেন্টে কোনো আগ্রহ দেখান না, তারা অকেজো।
‘বট’, যারা অ্যাকাউন্টের লক্ষ্য না বা দেড় হাজারের এর বেশি সাবস্ক্রিপশন আছে এমন গ্রাহকদের মুছে ফেলুন। তারা সম্ভবত এই অ্যাকাউন্টে আগ্রহী নন। ব্যবহারকারীদের বয়স, লিঙ্গ ও বসবাসের শহর, বা এ ধরনের তথ্য হাতে থাকলে যারা অ্যাকাউন্টের ‘টার্গেট অডিয়েনস প্রোফাইলে’র সঙ্গে মেলে না এমন অ্যাকাউন্ট ঝেড়ে ফেলুন।
হ্যাশট্যাগের ব্যবহার
ইনস্টাগ্রামে প্রচুর হ্যাশট্যাগ ব্যবহার হয়। অনেক সময় এগুলো কাজে লাগে আবার অনেক সময় দরকার হয় না। তবে, অ্যাকাউন্টের টার্গেট ব্যবহারকারীদের কথা চিন্তা করতে হবে, তারা পণ্য বা কনটেন্ট অনুসন্ধান করতে কী ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে।
স্প্যাম বা ব্লক করা হতে পারে এমন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন না।
‘কল টু অ্যাকশন’ ব্যবহার করুন
সহজ ভাষায় কল টু অ্যাকশন হল কোনো কাজ করতে বলা। কনটেন্টের শ্রোতাদের কিছু কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। অনেক ব্লগারই নিজের সাবস্কাইবারদের সরাসরি পোস্টে লাইক কমেন্ট করতে বলেন।
নিজের অ্যাকাউন্টের অনুসারীদের নিয়ে পরীক্ষা করুন।
কনটেন্ট নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হন
কনটেন্ট নিয়ে মতামত ও পারস্পারিক অনুমোদনের জন্য ব্লগারদের গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন। এ ছাড়া, প্রচলিত ধারণা অনুসারে, একটি পাঁচ হাজার সাবস্ক্রাইবার আছে এমন অ্যাকাউন্টের লাইক, ৩০০ সাবস্কাইবার রয়েছে এরকম অ্যাকাউন্টের চেয়েও বেশি মূল্যবান। ফলে, গ্রুপে জয়েন হলে এমন অনেকের সঙ্গে পিরিচিত হতে পারেন যাদের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
এ ছাড়া, এসব গ্রুপের মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামের খবর ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানও করতে পারেন।
স্টোরি পোস্ট করুন
বর্তমানে ইনস্টাগ্রামের অন্যতম বড় টুল হল স্টোরি। স্টোরির মাধ্যমেই কনটেন্ট আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, অ্যাকাউন্টের ফিড দেখেন না এমন দর্শকদের নাগালও পেতে পারেন এ ফিচারে।
ফলে, স্টোরি ফিচারকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অনেক ছোট অ্যাকাউন্টও বাড়তি রিচ পেতে পারে।
ইন্টারঅ্যাকটিভ কনটেন্ট তৈরি করুন
মন্তব্য প্রতিযোগিতা, কুইজ, পাজল ও আলোচনা এগুলো হতে পারে ইন্টারঅ্যাকটিভ কনটেন্টের উদাহরণ। অর্থাৎ কনটেন্টর ভেতরেই ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন, মাথা খাটাতে পারবেন ও জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। সাধারণ কনটেন্টের তুলনায় এ ধরনের কনটেন্ট অনেক বেশি মানুষকে আকর্ষণ করেন।
বর্তমানে এমন জনপ্রিয় এক ধরনের কনটেন্ট হল, ‘গিভ অ্যাওয়ে’ যেখানে ব্লগার বা অ্যাকাউন্ট মালিকরা বিনামূল্য বিভিন্ন গিফট দর্শকদের দিয়ে থাকেন কিছু কাজ করার বদলে। তবে, সতর্ক থাকতে হবে, গিভ অ্যাওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ না হলেও অনেক অ্যাকাউন্টই এর কারণে নিষিদ্ধ হওয়ার নজির আছে।