এ আইন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার।
Published : 13 Feb 2024, 07:03 PM
সময়ের প্রয়োজনে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই বিষয়ে আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অভিবাসীদের সংগঠন 'সেন্টার ফর এনআরবি'র সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ উদ্যোগের কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে চ্যাটজিপিটি’র মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এরইমধ্যে এআই খাত নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই তালিকায় নাম আছে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, চীন, জাপান, ফ্রান্স এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও।
আইন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এআই নিয়ে আইন করার বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হচ্ছে। এ আইন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে ‘অবশ্যই’ আলোচনা করা হবে।
সরকার সবসময় জনবান্ধব আইন করতে চায় বলেই আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সুযোগ রেখেছে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, “আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও (এনআরবি) যাতে ভাচুর্য়ালি অংশ নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারেন, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আনিসুল হক বলেন, সময়ের চাহিদার কারণে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন’ প্রণয়ন করেছে। ভাচুর্য়াল আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। ব্রিটিশ আমলের সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করেছে।
“এখন দেশি-বিদেশি সব শ্রেণি, পেশার মানুষ সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছেন।”
বাংলাদেশের অগ্রগতির পেছনে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার দেখানো পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
পুরনো খবর