ওপেনএআইয়ের পেছনে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি আর্থিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি বেড়েছে মাইক্রোসফটের ওপর।
Published : 21 Jan 2024, 06:55 PM
সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফটের সঙ্গে ওপেনএআই’সহ অন্যান্য এআই কোম্পানির অংশীদারিত্ব নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার মার্কিন সংবাদ প্রকাশনা পলিটিকো প্রতিবেদনে বলেছে, কোম্পানিগুলোর যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে তদন্তে নামছে মার্কিন বিচার বিভাগ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফটিসি।
গত বছর ওপেনএআইয়ের পেছনে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি আর্থিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি বেড়েছে মাইক্রোসফটের ওপর।
এ মাসের শুরুর দিকে ইউরোপের অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকরা আওয়াজ তোলেন, ওপেনএআইয়ের পেছনে মাইক্রোসফট যে আর্থিক বিনিয়োগ করছে, সেটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একীভূতকরণ সংশ্লিষ্ট নীতিমালার অধীনে তদন্ত চালানো যেতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকদের থেকেও একই ধরনের সতর্কবার্তা এসেছিল।
এর মধ্যে কোন বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে তা নিয়ে মাস কয়েক আগেই আলোচনা শুরু করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ ও এফটিসি, যেখানে কোনো পক্ষই মাইক্রোসফট ও ওপেনএআইকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ ছেড়ে দিতে রাজি নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে পলিটিকো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থা দুটির মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তার সিংহভাগই মাইক্রোসফট ও ওপেনএআইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এআই সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে কারা তদন্ত করবে, তা নিয়ে এখনও বড় পরিসরে আলোচনা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মাইক্রোসফট। এমনকি বিচার বিভাগের মুখপাত্রের কাছ থেকেও কোনো সাড়া মেলেনি।
পলিটিকো’র প্রতিবেদন সম্পর্কে রয়টার্স এফটিসি’র এক মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগের সঙ্গে আমাদের যৌথ ছাড়পত্রের প্রক্রিয়াটি নিরবচ্ছিন্ন, যেখানে উভয় সংস্থাই মার্কিন ভোক্তাদের উচ্চ মূল্য ও অন্যায্য প্রতিযোগিতা বিষয়ক স্বার্থ রক্ষার্থে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত চালানোর সুযোগ পেয়ে থাকে।”
গত বছরের জুলাইয়ে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল, ওপেনএআই ভোক্তা সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করেছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এফটিসি।
এর পাশাপাশি, একটি সরকারি নথির অনুলিপিও উদ্ধৃতি হিসেবে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।