ফোর্টনাইট একটি ‘সার্ভাইভাল’ ঘরানার গেইম, যেখানে গেইমারকে ‘জম্বির মতো’ বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে লড়াই করতে ও ফাঁদ বা দূর্গ দিয়ে বিভিন্ন বস্তুকে সুরক্ষিত রাখতে হয়।
Published : 21 Oct 2024, 05:55 PM
একজন গেইমার দাদী, যিনি নিজের গেইম খেলার ভিডিও লাইভ স্ট্রিম করে থাকেন, তার দাবি, জনপ্রিয় অনলাইন গেইম ফোর্টনাইটের সঙ্গে তার ‘প্রেম ঘটেছিল প্রথম দেখাতেই’।
স্কটল্যান্ডের মোরে শহরের নাগরিক ৭৬ বছর বয়সী ক্যাথ বাওয়ি’কে ফোর্টনাইট গেইমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তার ২৪ বছর বয়সী নাতি লুইস। এর বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই নিজের দুই নাতির সঙ্গে মারিও কার্ট, ফিফা ও মাইনক্রাফটের মতো জনপ্রিয় সব গেইম খেলা শুরু করেন তিনি।
বাওয়ি বলেন, তিনি গেইমটির প্রতি এত ‘আসক্ত’ হয়ে পড়েছিলেন যে নিজস্ব টুইচ অ্যাকাউন্ট খুলতে তিনি একেবারেই দেরি করেননি। ‘গ্রাম্পিগ্র্যান১৯৪৮’ নামের গেইমট্যাগ থেকে ফোর্টনাইট গেইমের লাইভ স্ট্রিম করেন বাওয়ি, যার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
এখন আইকিয়া’র ‘ব্র্যান্ডল কালেকশন’-এর জন্য তাদের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন বাওয়ি। গেইমিং রুম সংশ্লিষ্ট নানা ফার্নিচার বানায় কোম্পানিটি।
ফোর্টনাইট একটি ‘সার্ভাইভাল’ ঘরানার গেইম, যেখানে গেইমারকে ‘জম্বির মতো’ বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে লড়াই করতে হয় ও ফাঁদ বা দূর্গ দিয়ে বিভিন্ন বস্তু সুরক্ষিত রাখতে হয়।
“গেইমিংয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না আমার, তবে তা এমনিতেই ঘটে গেছে,” বলেন ওই ফোর্টনাইট গেইমার দাদী।
প্রায় সাত বছর ধরে ফোর্টনাইট গেইমটি খেলছেন বাওয়ি।
“আমি শুধু আমার নাতির বেডরুমে গিয়েছিলাম, যেখানে সে নিজের পিএস৪-এ গেইম খেলছিল। আর আমি দেখলাম সেটা ফোর্টনাইট।”
“সে সময় আমি নিশ্চিতভাবেই জানতাম না যে, এটা আসলে কী। ও আমাকে গেইম খেলতে খেলতেই বুঝিয়ে বলে। লোকজন প্রায়শই প্রথম দেখায় প্রেমের কথা বললেও আমার বেলায় এটা সত্যি সত্যিই ঘটল।”
“আমি গেইমটি দেখে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এটা তেমন একটি দিন ছিল, যেখানে আমি জানতাম, বুড়ো হয়ে যাওয়ার পর আমার ফোর্টনাইট গেইমের কথা মনে পড়বে। আর দিনটি আমি কখনই ভুলতে পারব না।”
এমনকি ‘সুযোগ পেলেই’ নিজের নাতির অ্যাকাউন্ট থেকে গেইমটি খেলতেন বাওয়ি। পরবর্তীতে গিয়ে অবশ্য তিনি নিজের জন্য একটি পিএস৪ কনসোল কেনার পাশাপাশি টুইচে নিজস্ব অ্যাকাউন্টও বানিয়েছেন।
এর পর অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচে লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি, যেখানে নিজের গেইমপ্লে দেখানোর পাশাপাশি সরাসরি ধারাভাষ্য দিতে শুরু করেন তিনি।
বাওয়ি বেশিরভাগ সময় বিশ্বের নানা প্রান্তের লোকজনের সঙ্গে গেইমটি খেলে থাকেন। এমনকি নিজের তৈরি করা গেইমারদের কমিউনিটি নিয়েও তিনি গর্বিত বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
“আমার কমিউনিটি খুবই ভালো। এখানে ক্রমাগতই চ্যাটিং চলতে থাকে ও সবাই একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ। আমার স্বামীর কথা বাদ দিলে এই গেইমটিই আমার জীবন,” বলেন তিনি।
এমনকি বয়স্ক গেইমারদেকেও পরামর্শ দিয়েছেন বাওয়ি।
“আপনি শুধু খেলুন। নিজের বয়স ভুলে যান। এটা খেলুন ও নিজেকে উপভোগ করুন। দেখুন, আমি কত আনন্দ পেয়েছি এতে।”