বিটকয়েনের দামে সাম্প্রতিক উত্থান শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় এক বড় সমাবেশের পর, যখন নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় স্পষ্ট হয়ে যায়।
Published : 23 Nov 2024, 12:03 PM
এক লাখ ডলারের মাইলফলক ছুঁতে আর মাত্র কয়েক হাজার ডলার দূরে আছে বিটকয়েন।
বৃহস্পতিবারই নিজের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোমুদ্রাটি।
বিটকয়েনের দামে সাম্প্রতিক উত্থান শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় এক বড় সমাবেশের পর, যখন নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় স্পষ্ট হয়ে যায়।
ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেতে এখনও দুই মাস বাকি থাকলেও কয়েকজন বাজার বিশ্লেষক ধারণা প্রকাশ করেছেন, ২০২৫ সালেও বিশ্বের শীর্ষ ক্রিপ্টোমুদ্রাটির দামে এ উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে।
নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর ক্রিপ্টো বাজারে এমন প্রতিক্রিয়ার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেছে তার নির্বাচনী প্রচারণা। বিটকয়েনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সংস্কার আনার এবং নিজস্ব প্রশাসনের অধীনে বিটকয়েনপন্থী নীতি প্রবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
এর পাশাপাশি ট্রাম্প এমন বেশ কিছু হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিকে নেতৃস্থানীয় পদ দিয়েছেন, যারা ক্রিপ্টোমুদ্রার পক্ষে কথা বলে আসছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ইলন মাস্ক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জেডি ভ্যান্সও।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এ খাত আরও বৈধতা পাওয়ার পাশাপাশি বিটকয়েন মূলধারার সম্পদ শ্রেণি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে। এমনকি অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক অশান্তির সময় এটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবেও কাজ করতে পারে বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।
“এক লাখ ডলারের মাইলফলক, যা একসময় অসম্ভব মনে হয়েছে, এখন তা বাস্তবে রূপ নেওয়ার কাছাকাছি। আমার অনুমান, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে এর দাম এক লাখ ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে,” ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন আর্থিক পরামর্শক কোম্পানি ‘দেভিয়ের গ্রুপ’-এর সিইও নাইজেল গ্রিন।
“বিটকয়েনকে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’ হিসেবে দেখার প্রবণতা এতটাই বেড়েছে যে সেটা এড়ানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। একে দেখা হচ্ছে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিকল্প ব্যবস্থা ও বৈচিত্র্যের হাতিয়ার হিসেবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে আগ্রহ এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। পাশাপাশি, এর গণমুখী ব্যবহার সমর্থন করবে, এমন অবকাঠামো তৈরির সুযোগও বাড়ছে।”
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নীতিমালা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই খাতে আরও বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
কিন্তু ক্রিপ্টো খাতে নতুন ইতিবাচক দিক অর্থাৎ বিটকয়েনের সাম্প্রতিক উত্থান যদি অব্যাহত থাকে, তা প্রায় নিশ্চিতভাবেই গতানুগতিক কিছু হিসেবে বিবেচিত হবে না।
“এর সম্ভাবনা যেমন অপার, তেমনই এর ঝুঁকির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।”