মাইক্রোসফটের ক্লাউডভিত্তিক সেবায় বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক বিভ্রাট

এখন বেশি সংখ্যক কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করায় বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। ফলে, এমন বিভ্রাট আরও বেশি প্রভাব ফেলে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2023, 12:32 PM
Updated : 25 Jan 2023, 12:32 PM

মাইক্রোসফটের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাজিওর’সহ টিমস ও আউটলুকের মতো অন্যান্য সেবা বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। ফলে, এর সম্ভাব্য প্রভাব পড়েছে বিশ্বের কোটি ব্যবহারকারীর ওপর।

অ্যাজিওর-এর স্ট্যাটাস পেইজে দেখা গেছে, আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া প্যাসিফিক, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা সকল মহাদেশেই এর প্রভাব পড়েছে। কেবল চীনের পরিষেবা ও সরকারী সংস্থার প্ল্যাটফর্মগুলোয় এই বিভ্রাটের কথা শোনা যায়নি।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোসফটের ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম অ্যাজিওরে বিভ্রাটের প্রভাব বেশ কয়েকটি সেবায় গিয়ে পড়তে পারে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলো প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করায় এটি অনেকটা ‘ডমিনো ইফেক্ট’-এর মতো কাজ করে।

“আমরা খুঁজে পেয়েছি, মাইক্রোসফটের বিভিন্ন ‘ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (ডব্লিউএএন)’ ডিভাইসে নেটওয়ার্কের সংযোগজনিত সমস্যাটি ঘটছে।” --বলেছে মাইক্রোসফট।

কোম্পানি আরও বলেছে, অ্যাজিওর প্ল্যাটফর্মের গ্রাহকদের ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি এটি ডেটা সেন্টার সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলোতেও প্রভাব ফেলেছে।

“পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আসার আগ পর্যন্ত আমরা সেবাটি পর্যবেক্ষণ করছি।” --নিজেদের নেটওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনকে এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে টুইট করেছে মাইক্রোসফট।

বিভ্রাটের মুখে পড়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশ করেনি মাইক্রোসফট। তবে বিভ্রাট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ডাউনডিটেকটরের’ তথ্য দেখাচ্ছে, বিভিন্ন মহাদেশের হাজার হাজার ব্যবহারকারী এই পরিস্থিতিতে পড়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইটটি ব্যবহারকারীর জমা দেওয়া বিভিন্ন ত্রুটির উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভ্রাটের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে।

আগের তুলনায় এখন বেশি সংখ্যক কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করায় বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। ফলে, এমন বিভ্রাট আরও বেশি প্রভাব ফেলে।

বিভ্রাট চলাকালীন ব্যবহারকারীরা বার্তা পাঠানো, গ্রুপ কলে যোগ দেওয়া বা ‘টিমস’-এর যে কোনো ফিচার ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়েন। সেবাটির বিভ্রাট নিয়ে অনেক টুইটার ব্যবহারকারীই আপডেট শেয়ার করছেন। এর ফলে, ‘#MicrosoftTeams’ প্ল্যাটফর্মটির ট্রেন্ডিং তালিকায় উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাপী ২৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করেন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও স্কুলের বৈঠক সূচী বানানো, কল করা, ও কার্যতালিকা তৈরির মতো দৈনন্দিন কার্যক্রমে এটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে।

মাইক্রোসফটের স্ট্যাটাস পেইজের তথ্য অনুসারে, এই বিভ্রাটের মুখে পড়া অন্যান্য সেবা হলো ‘মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ অনলাইন’, ‘শেয়ারপয়েন্ট অনলাইন’ ও ‘ওয়ানড্রাইভে’র বাণিজ্যিক সংস্করণ।