মতিঝিলে সন্ধ্যায় কেবল কাটায় ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে শঙ্কায় ব্রোকারেজ হাউস

লেনদেন চালু রাখতে সদস্যদের এসএমএস দিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানির সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের তাগিদ ডিবিএর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2024, 07:36 PM
Updated : 30 Jan 2024, 07:36 PM

তারের জঞ্জাল দূর করতে ঢাকার মতিঝিলের অনেক এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে ঝুলে থাকা কেবল কেটে ফেলা হয়েছে; যাতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সেখানকার ব্রোকারেজ হাউসগুলো।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পেরোলেই মতিঝিল থেকে টিকাটুলি যাওয়ার পথের দুই পাশে থাকা কেবল কাটার অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর বেশির ভাগই বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানির তার। এর সঙ্গে ডিশ সংযোগের কেবলও রয়েছে।

দেশের দুই পুঁজিবাজারের বেশির ভাগ ব্রোকারেজ হাউজের অবস্থান মতিঝিল এলাকায়। তার কাটার ফলে বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ ঠিক না হলে বুধবার পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া এবং পরে লেনদেন নিষ্পত্তি হওয়ার কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করছেন ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ডিবিএ।

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘দিনে লেনদেন করে অফিস শেষে বাসায় ফিরলাম সন্ধ্যায়। এখন শুনি ইন্টারনেট লাইন কেটে ফেলেছে। তাইলে কালকে (বুধবার) কিভাবে লেনদেন করব।’’

তিনি বলেন, ‘‘সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানগুলোর সিংহভাগেরই প্রধান কার্যালয় মতিঝিলে। শাখা অফিসের মাধ্যমে লেনদেন করলেও দিন শেষে তা নিষ্পত্তি করতে হয় প্রধান কার্যালয়ের সার্ভারের মাধ্যমে। এখন বুধবার কী হবে তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’’

ডিএসই ব্যবস্থাপনা বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করার পাশাপাশি সদস্যদের ক্ষুদে বার্তায় ডিবিএ সভাপতি বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মতিঝিল স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে ওভারহেড ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরূপ অবস্থায় আগামীকাল (বুধবার) ট্রেডিং কার্যক্রম সচল রাখতে দয়া করে আপনার নিজস্ব ভেন্ডরের সাথে অতি সত্বর যোগাযোগ করে সংযোগ নিশ্চিত করতে বিনীতিভাবে অনুরোধ করছি। অন্যথায় ট্রেডিং কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে।’’

ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আমাদের না জানিয়েই দক্ষিণ সিটি হুট করে মতিঝিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় তারগুলো কেটে দিল। আমাদের জানালে আমরাই ধীর ধীরে তা করতে পারতাম। অন্য অঞ্চলে তো আমাদের জানালেই গুছিয়ে দিয়ে আসছি।’’

ব্যাংক, বীমা, পুঁজিবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে দ্রুত কেবল মেরামত করার সুযোগও চেয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘তারের জঞ্জাল দূর করতে সিটি করপোরেশনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয় তিন বছর আগে। তার কাটতে গেলে আইএসপিএবি ও কোয়াব (কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) আমাদের ওয়াদা করেছিল তিন মাসের মধ্যে তারা সরিয়ে নিবে।

‘‘তিনবার সময় বাড়িয়ে ছয় মাস নিয়েছিল তারা। এখন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তার কেটে দেওয়া হয়েছে। তারের জঞ্জাল দূর করতে তাদের সব ধরনের কো-অপারেশন করতে রাজি আছে সিটি করপোরেশন।”