এক দিনে শেয়ার দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার পরদিন সূচকের এই দশা হল।
Published : 25 Apr 2024, 06:19 PM
সূচকের পতন ঠেকাতে শেয়ার দর কমার সর্বনিম্ন সীমা কমিয়ে আনার পর প্রথম দিনই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক তিন বছর আগের অবস্থানে চলে গেছে।
সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার এ বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইক্স ৬০ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে থেমেছে।
এর আগে ২০২১ সালের ২ মে ডিএসইএক্স এর চেয়ে বাজে অবস্থায় ছিল, সেদিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টের ঘরে।
আড়াই মাসের কম সময়ে পুঁজিবাজারে ৮১৫ পয়েন্ট সূচক পতনের পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি বাজারে হস্তক্ষেপ করে।
বুধবার জানানো হয়, এক দিনে শেয়ার দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে ফ্লোর প্রাইসে থাকা তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ওই নিয়মে লেনদেন শুরু হয় পাঁচ হাজার ৫৭৮ পয়েন্ট নিয়ে। কিন্তু এক পর্যায়ে সূচক পড়ে যায় ৯৮ পয়েন্ট।
কয়েকবারের চেষ্টায় হারানো সূচক কিছুটা ফিরে পেলেও দিন শেষে বাজার শেষ হয় সূচকের ঘরে আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়েন্ট কম নিয়ে।
সূচকের সঙ্গে কমেছে ডিএসইর লেনদেনও। ৫১১ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এদিন, আগের দিন হয়েছিল ৬০২ কোটি টাকা।
সপ্তাহের শেষ দিন ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে, বেড়েছে ৬৯টির, ২৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
দর পতনের সুযোগ কমিয়ে আনার পরও সূচকে বড় পতনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী অস্বাভাবিক লেনদেন করছে। তাদের নিবৃত্ত করতে শেয়ারের মূল্য কমার হার বেঁধে দিয়েছে কমিশন।
“বাজার প্রচুর বিক্রয় চাপে রয়েছে। এতে করে তারল্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থবাজারে (ব্যাংক) চলে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এখন শেয়ার ক্রয় করলে পুঁজিবাজার ঘুড়ে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস করি। কারণ বাজারে এখনো অনেক শেয়ার আন্ডার ভ্যালুড (প্রকৃত দরের চেয়ে কম) অবস্থায় রয়েছে। সেখানে বিনিয়োগ আসতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তাতে বিনিয়োগ করতে পারে।”
টানা আড়াই মাস ধরেই পুঁজিবাজার উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে উত্থান হলেও বেশিরভাগ সময়ে পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে।
এর মাঝে রোজা ও ঈদ চলে আসায় বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিলেন ঈদ শেষে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে পুঁজিবজার। কিন্তু ঈদের ছুটির পরও ছন্দে ফেরেনি বাজার। উল্টো পতনের হার বেড়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এত দিন ধরে বাজার পতন হওয়া মানে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা যথাযথ হচ্ছে না। বাজারের ওপর হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিনিয়োগকারীরা ভালোভাবে নিচ্ছে না। আমরা প্রত্যাশা করব বিএসইসির এ সিদ্ধান্ত সাময়িক হবে।’’