মিডল্যান্ড ব্যাংকের আইপিওতে ২৬% শেয়ার অবিক্রিত

নিয়ম অনুযায়ী আন্ডার-রাইটার হিসেবে সেসব শেয়ার কিনে নিতে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

শেখ আবু তালেববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2023, 04:40 AM
Updated : 7 March 2023, 04:40 AM

আইপিও আবেদনে প্রথমবারের মতো কোনো ব্যাংকের শেয়ারে চাহিদার চেয়ে কম ক্রেতা পাওয়ার ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে পুঁজিবাজারে।

এর আগে পতনের বাজারেও ব্যাংকের আইপিও আবেদনে বিনিয়োগকারীদের সাড়া ছিল চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) জন্য নির্ধারিত মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৭ কোটি শেয়ারের মধ্যে প্রায় ২৬ শতাংশ অবিক্রিত থেকে গেছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী আন্ডার-রাইটার হিসেবে সেসব শেয়ার কিনে নিতে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে বরাদ্দ ৭ কোটি শেয়ারের মধ্যে ২৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ারের জন্য কোনো আবেদন জমা না পড়ায় আন্ডার সাবস্ক্রাইবড হয়েছে। এই শেয়ার এখন নিয়ম অনুযায়ী আন্ডার-রাইটারদের কিনে নিতে হবে। সেজন্য আমরা ইস্যু ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।’’

২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের মিডল্যান্ড ব্যাংক পুঁজিবাজার থেকে ৭০ কোটি টাকা তুলতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কাছ থেকে আইপিও অনুমোদন পেয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে।

অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ব্যাংকটি ৭ কোটি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখে, যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের মাত্র ১০ শতাংশ।

আইপিওতে ইস্যু করা শেয়ারের মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য (ইআই) ৩০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড ও সমন্বিত বিনিয়োগ স্কিমের জন্য ১০ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ১০ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দের নিয়ম রয়েছে।

আইপিও প্রক্রিয়ায় ব্যাংকটি কর্মীদের মধ্যে ৩৫ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। এসব শেয়ার ২ বছরের জন্য লক ইন থাকবে।

গত ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির আইপিও আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম চলে। যাচাই শেষে ডিএসই দেখতে পায় মোট শেয়ারের ২৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ আবেদন কম পড়েছে।

সংখ্যায় তা ১ কোটি ৮১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫০টি বলে জানিয়েছেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার।

Also Read: মিডল্যান্ডের আইপিও আবেদন ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি

অভিহিত মূল্যে যার অর্থের পরিমাণ ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা। যোগ্য বিনিয়োগকারী, সাধারণ ও অনিবাসী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ পরিমাণ আবেদন কম পড়েছে।

বিএসইসি আইপিও নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদন যদি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কম হয় তাহলে আইপিও বাতিল হবে না। কম হওয়া আবেদনের শেয়ার আন্ডার রাইটারের কিনে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

প্রসপেক্টাসে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে মিডল্যান্ড ব্যাংকের আন্ডার-রাইটার হিসেবে কাজ করা পাঁচ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্টস, রাষ্ট্রায়ত্ব আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, সোনালী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সোনালী ইনভেস্টমেন্টস, রূপালী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি রূপালী ইনভেস্টমেন্টস এবং প্রাইম ব্যাংকের সাবসডিয়ারি প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

এর মধ্যে লংকা-বাংলা ইনভেস্টমেন্টস একইসঙ্গে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করছে।

আবেদন কম পড়া অংশের শেয়ার এখন এসব আন্ডার-রাইটারদের কিনে নিতে হবে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘আন্ডার-রাইটার হিসেবে যার যতোটুকু অংশের দায়িত্ব ছিল, ঠিক আনুপাতিক হারে শেয়ার বণ্টন হবে তাদের মধ্যে।”

মিডল্যান্ড ব্যাংকের আইপিও আবেদন কম জমা পড়ার তথ্য জানিয়ে ইস্যু ম্যানেজার লংকা-বাংলা ইনভেস্টমেন্টকে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে ডিএসইর পক্ষ থেকে।

ডিএসইর নির্দেশনা পেয়ে বাকি চার আন্ডার-রাইটার প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কেনার তহবিল গোছাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লংকা-বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আলম।

দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংকের আইপিও আবেদনে এর আগে কখনই এত কম আবেদন জমা পড়েনি। উল্টো তিন থেকে চারগুণ বেশি আবেদনও জমা হয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিলের আগ পর্যন্ত আইপিও আবেদনের পর আবেদনকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে একজন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার শেয়ার পাওয়ার সুযোগ ছিল।

এতে কোনো প্রতিষ্ঠানের আইপিও আবেদন শুরু হওয়ার আগে পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির হার বেড়ে গিয়ে দর পতন হত। ওই বিক্রির অর্থ দিয়েই অনেকে আইপিও আবেদন করতেন।

পরে বিএসইসি আইপিও আবেদন নীতিমালায় পরিবর্তন এনে ন্যূনতম বিনিয়োগ থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে এবং আবেদনকারীদের সবার মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম চালু করে। তাতে একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার শেয়ার কিনতে পারেন।

এ পক্রিয়ায় সর্বশেষ ব্যাংক খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক) ৪২৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে পুঁজিবাজার থেকে। সেবার আইপিওতে সব শেয়ারই বিক্রি হয়ে যায়।

বিনিয়োগকারীদের সাড় না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিডল্যান্ড ব্যাংকের কোম্পানি সচিব খালিদ মোহাম্মদ শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া লাইসেন্সের শর্ত পরিপালন করতে বিদ্যমান প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও মিডল্যান্ড ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। এখন আমাদের শর্ত পূরণ হয়েছে।

“ব্যাংকিং খাতের প্রতি সাম্প্রতিক সময়ে এক ধরনের যে অনাস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজারেও প্রতিকূল পরিবেশ থাকায় শেয়ারের আবেদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হয়নি।”

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা নিজ নিজ সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করেন। পরে তা একত্র করে ডিএসইকে জানায় সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানগুলো।

মিডল্যান্ড ব্যাংকের আইপিওতে আন্ডার-রাইটার হিসেবে আইসিবিও রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ব এ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ ও বাজার মধ্যস্তকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা রাখে।

আইসিবির ব্রোকারেজ ও তহবিল ব্যবস্থাপনা সেবা দেওয়ার সুবিধা থাকায় আইপিও আবেদনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দেবে- এমনটি ধরে নিয়েই মিডল্যান্ড ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটিকে নিযুক্ত করেছিল বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা।

একইভাবে আন্ডার-রাইটার হিসেবে নিয়োগ দিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু শেয়ার কিনতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়ে মিডল্যান্ড ব্যাংক সন্তুষ্ট হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন খালিদ মোহাম্মদ শরীফ।

এর আগে সর্বশেষ তালিকাভুক্ত হওয়া ব্যাংকের শেয়ার দর অভিহিত মূল্যর নিচে চলে যাওয়াকে সামনে এনে ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি এক ধরনের নেতিবাচক প্রচার দেখা গেছে। এমন প্রচারের মধ্যেও ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা, আমানতসহ আর্থিক অবস্থান ‘ভালো থাকার বিষয়টি’ বিনিয়োগকারীদের মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রতি আকৃষ্ট করবে বলে বিশ্বাস ছিল খালিদ মোহাম্মদ শরীফের। তবে বাস্তবে তা ঘটেনি।

বিএসইসির অনুমোদিত মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, ২০২১ সাল শেষে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা, বিতরণকৃত ঋণ স্থিতি ছিল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ঘরে ও বছরটিতে ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ৫১ কোটি টাকার উপরে।

পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থ সরকারি ও তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং আইপিওর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজে ব্যয় করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ব্যাংকটি।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সাল শেষে পুর্নমুল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩ টাকা।

এসময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা। গত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ওয়েটেড অ্যাভারেজ ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা।

আইপিও অনুমোদনের সময়ে দুটি শর্ত ছিল। প্রথমটি হল, তালিকাভুক্তির আগে মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রত্যেক পরিচালকের আলাদাভাবে মোট শেয়ারের ২ শতাংশের (আইপিও পরবর্তী শেয়ারের) মালিকানা থাকতে হবে। আর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ (আইপিও পরবর্তী শেয়ারের) শেয়ার ধারণ করতে হবে।

আর দ্বিতীয়টি ছিল, তালিকাভুক্তির আগে বিএসইসির করপোরেট গভর্নেন্স গাইডলাইন অনুসারে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের শর্ত পরিপালন করতে হবে।

এ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার জাফরুল্লাহ। আইপিওতে আবেদনের সময়ে ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫৬৯ কোটি টাকা।

এর পর কী

লাইসেন্সের শর্ত হিসেবে কার্যক্রম শুরু করার তিন বছরের মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর।

২০১৩ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ৯টি ব্যাংকে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

চতুর্থ প্রজন্মের হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক(সাবেক ফারমার্স), এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল(বর্তমান গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক) সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক সে সময় লাইসেন্স পায়।

তখন লাইসেন্স দেওয়ার মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের যোগান দেওয়া মূলধনের (ওই সময়ে ৪০০ কোটি টাকা) সমপরিমাণ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করতে হবে।

অর্থাৎ- পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ৪০০ কোটি টাকার উদ্যোক্তা মূলধনের বিপরীতে বাজারে আরও ৪০০ কোটি টাকা মূল্যর সমপরিমাণ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য ছাড়তে হবে।

উদ্যোক্তাদের সমপরিমাণ মূলধনের শেয়ার ছেড়ে ও কয়েকটি ব্যাংক শর্ত শিথিল করেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে গত কয়েক বছরে। যদিও সবগুলোই লাইসেন্স পাওয়ার পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি।

মিডল্যান্ড ব্যাংকও ৪০০ কোটি টাকার পরিবর্তে ছাড় পেয়ে ৭০ কোটি টাকা মূল্যর শেয়ার বাজারে ছেড়ে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছিল।

এখনো তালিকাভুক্ত না হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স), এনআরবি ব্যাংক।

পতনের এ বাজারে এ চারটি ব্যাংকও তালিকাভুক্ত হতে আরো সময় নেবে বলেই মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবু আহমেদ।

তিনি বলেন, “বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আটকে গিয়েছে ফ্লোর প্রাইসের কারণে। এখন লসেও বিক্রি করতে পারছেন না। তাই নতুন আইপিওর প্রতি আগ্রহ কম দেখিয়েছে। কারণ হচ্ছে, লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে দেন। এখন ক্রেতাই যদি না থাকে তাহলে কার কাছে বিক্রি করবে? এই শঙ্কা বিরাজ করছে অনেকের মনে।”