সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন: কমিশনের ৮৫% পাবে ব্রোকারেজ হাউজ

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা প্রকাশ করেছে; এতে বলা হয়েছে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে পারবে না ইসলামী ধারার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2023, 05:23 PM
Updated : 6 June 2023, 05:23 PM

প্রতি লেনদেনে ১০০ টাকা কমিশন ফি নির্ধারণ করে সেকেন্ডারি মার্কেটে সরকারি সিকিউরিটেজ লেনদেনের নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্ম ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।

মঙ্গলবার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘গাইডলাইন অন দ্যা সেকেন্ডারি ট্রেডিং অব গর্ভমেন্ট সিকিউরিটিজ, ২০২৩’ শীর্ষক নীতিমালা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, প্রতি লেনদেনে কমিশন ফি হবে ১০০ টাকা। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ৮৫ শতাংশ পাবে ব্রোকারেজ হাউজ ও ব্যাংক।

লেনদেনের জন্য এ কমিশন ফি গ্রাহকের কাছ থেকে কেটে রাখবে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ও ডিলার ব্যাংক।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, উভয় প্লাটফর্মে লেনদেনের বেলায় এ কমিশন হার প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ‘চলতি হিসাব’ রয়েছে এমন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রনিক প্লাটফর্মে লেনদেন করতে পারবে। অপরদিকে যাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কোনো হিসাব নেই তাদের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সরকারি সিকিউরিটিজ কেনাবেচা করতে হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বর্তমানে ২৪৬টি সরকারি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত রয়েছে ট্রেজারি বন্ড আকারে।

এগুলো ছাড়াও সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত নতুন সিকিউরিটিজ লেনদেনের বেলায় এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে পারবে না ইসলামী ধারার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

এতদিন সরকারি সিকিউরিটিজ সহজে লেনদেনের সুযোগ ছিল না। একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে সেকেন্ডারি মার্কেটে এগুলোর কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা হল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিটি লেনদেন শেষে পৃথক বার্তা চলে যাবে লেনদেন সম্পন্নকারীদের কাছে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ও সিডিবিএল লেনদেনের দায়িত্ব নেবে।

সরকারি সিকিউরিটিজ স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হলেও এ বিষয়ে ট্রাস্টি হিসেবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের থাকবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।