নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর ও সারচার্জের সর্বোচ্চ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০.২৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ৪০.৫০ শতাংশ।
Published : 04 Nov 2024, 03:17 PM
পুঁজিবাজারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফায় ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত যে কর দিতে হচ্ছিল তা কমিয়ে সবক্ষেত্রের জন্য ১৫ শতাংশ ঠিক করা হয়েছে।
সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক পরিপত্রে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন কর হার নির্ধারণ করে এনবিআর প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। কমিশন (বিএসইসি) ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কার হার যৌক্তিকীকরণের জন্য সরকার ও এনবিআরের কাছে অনুরোধ করেছিল।
“বিনিয়োগকারীবান্ধব সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করায় বিনিয়োগকারীরা আগের চেয়ে বেশি লাভবান হবেন। সরকার ও কমিশন পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, বাজারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধিতে আরো অনেক নীতি সহায়তা নিয়ে কাজ করছে।’’
শেয়ার বা সিকিউরিটিজ বিক্রি করে বিনিয়োগকারী যে মুনাফা বা লাভ অর্জন করে থাকেন- তাই মূলধনি মুনাফা। পুঁজিবাজারের মোট বিনিয়োগকারীর মাত্র ১০ শতাংশ ব্যক্তি শ্রেণির। ২০১৫ সাল থেকে এই শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মূলধনি আয়ের ওপর থেকে কর আদায় স্থগিত থাকার পর চলতি অর্থবছর থেকে ফের তা চালু করা হয়।
ওই সময় কেবল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনি আয়ের ওপর ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৯০ শতাংশই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, যাদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক, প্লেসমেন্ট শেয়ারধারী, স্টক ব্রোকার, ডিলার।
সারচার্জ কত?
মূলধনি আয়ের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে যে সাধারণ কর দিতে হয়, তার ওপর ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সারচার্জ দিতে হয়।
করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি হলে তাকে ১০ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। নিট সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি হলে ২০ শতাংশ সারচার্জ, ২০ কোটি টাকার বেশি হলে ৩০ শতাংশ এবং নিট সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে ৩৫ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে।
তার মানে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর ও সারচার্জের সর্বোচ্চ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০.২৫ শতাংশ [১৫% + (এর ওপর ৩৫%) ৫.২৫%]। এর আগে এই পরিমাণ ছিল ৪০.৫০ শতাংশ।