একইসঙ্গে লেনদেন আরও কমে হয় ৩০০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
Published : 23 Apr 2025, 04:04 PM
প্রায় দুই সপ্তাহ আগ থেকে পতন শুরু হওয়া পুঁজিবাজারের সূচক আরো খানিকটা কমলো।
বুধবার দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইর মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমেছে।
আগের দিন ডিএসই সূচক ছিল ৫ হাজার ২৬ পয়েন্ট।
একইসঙ্গে লেনদেন আরও কমে হয় ৩০০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এর আগে সবশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর ২৮২ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয় ডিএসইতে; তারও আগে ২৩ ডিসেম্বর ৩০৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
সকালে লেনদেন শুরু হলে আধা ঘণ্টা পরই দরপতন শুরু হয়, যা চলে শেষ বেলাতেও।
চূড়ান্তভাবে ৩০০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল করে সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ২২ পয়েন্টে।
ডিএসইতে সবশেষ সূচকের উত্থান হয় গত ১০ এপ্রিল। সেদিন সূচক ছিল ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট আর ডিএসইতে শেয়ার হাতবদল হয় ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকার।
এরপর লেনদেনের সঙ্গে পতন হতে থাকে সূচকের। গত মঙ্গলবার বাজার সংশ্লিষ্ট শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরদিন সূচক ও লেনদেনে আরও পতন হয়।
বুধবার ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দরে এগিয়েছে ১১৯টি, কমেছে ২১৪টির, প্রতিষ্ঠান ও ফান্ড মিলিয়ে মিলিয়ে আগের দরে লেনদেন হয় ৬২টির।
ডিএসইর লেনদেনে সর্বোচ্চ অবদান রাখে ব্যাংক খাত। এরপরই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত।
পতনের এ বাজারেও বিনিয়োগকারিরা মুনাফা দেখতে পেয়েছেন এ তিন খাতের পাশাপাশি বস্ত্র খাতে।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে আসে শাইনপুকুর সিরামিকস, ডরিন পাওয়ার ও রানার অটোস।
অন্যদিকে দর হারানোর শীর্ষে চলে আসে বিচ হ্যাচারি, এডিএন টেলিকম ও হাইডেলবার্গ সিমেন্ট।