ফাইনাল জয়ের মন্ত্র 'জানা আছে' ইংল্যান্ডের

স্পেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন ইংলিশ ডিফেন্ডার লুসি ব্রোঞ্জ।

সেমি-ফাইনালে জয়ের পর ইংল্যান্ড দলের উল্লাস। 

যেকোনো ফাইনালে মাঠে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে স্নায়ুর লড়াইও। শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা থাকায় মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনালে তাই স্পেনের বিপক্ষে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন লুসি ব্রোঞ্জ। ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ফাইনালে জেতার মন্ত্র প্রতিপক্ষের চেয়ে তাদের ভালো জানা আছে। 

ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল খেলেছেন ব্রোঞ্জ। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে গত বছর প্রথম মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড; ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানিকে হারিয়ে ট্রফিতে চুমু আঁকে ইংলিশ মেয়েরা।

সেই সাফল্যে উদ্দীপ্ত হয়ে বিশ্বকাপে পা রাখে ইংল্যান্ড। শক্তির বিচারেও তারা শুরু থেকেই ছিল ফেভারিটের তালিকায়। গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ জয়ের পর নকআউট পর্বে একে একে নাইজেরিয়া, কলম্বিয়া ও সবশেষ বুধবার সেমি-ফাইনালে সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১ গোলে হারায় তারা।

পুরো টুর্নামেন্টের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও রক্ষণে অবিচল ছিলেন ক্লাব পর্যায়ে বার্সেলোনার হয়ে খেলা ব্রোঞ্জ। আগামী রোববার ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। শিরোপা লড়াইয়ে আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ব্রোঞ্জ।

“আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি, যাদের সম্পর্কে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালোভাবে জানি।”

“আমরা জানি, কীভাবে ফাইনালে জিততে হয়। এটা এমন কিছু যা আমাদের জানা আছে, স্পেনের নেই। এই অভিজ্ঞতা শুধু আমার নয়, ইংল্যান্ডের দলের অনেক খেলোয়াড়েরই আছে…।”

ব্রোঞ্জের বার্সেলোনা সতীর্থদের কয়েকজন আছেন স্পেন দলে। তাদের বিপক্ষে লড়ার জন্য মুখিয়ে আছেন ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

“আমি রোমাঞ্চিত। তাদের (স্পেন দলের) কয়েকজন আমার খুব ভালো বন্ধু, বার্সেলোনায় আমার সতীর্থরা আছে, আমি ও কেইরা (ওয়ালশ) তাদের খুব ভালোভাবে জানি।”

“পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে। এমনকি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমরা মজা করে বলেছিলাম, 'তোমাদের সঙ্গে ফাইনালে দেখা হবে', এবং সেটাই সত্যি হয়েছে।”

সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। পিছিয়ে পড়ার পর দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতেছিল ব্রোঞ্জরা।

শক্তির বিচারে আসছে ফাইনালে অবশ্য পরিষ্কার ফেভারিট ইংল্যান্ড। আসর শুরুর আগে স্পেনের ফেভারিটের তালিকায় থাকা দূরের কথা, তাদের নিয়ে তেমন কোনো আশার আলোই ছিল না।

কারণটাও পরিষ্কার। এবারের আগে দুবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে কখনও নকআউট পর্বের ম্যাচ জিততে পারেনি স্পেন। ওই দুই আসর মিলিয়ে সাত ম্যাচে তাদের জয়ই ছিল স্রেফ একটি। সেই তারাই এবার অবিশ্বাস্য পথচলায় ছয় ম্যাচের পাঁচটি জিতে পৌঁছে গেছে শিরোপার মঞ্চে।