আর্জেন্টাইন মহাতারকার না খেলার বিষয়ে আয়োজকদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে হংকং সরকার।
Published : 04 Feb 2024, 08:42 PM
‘আমরা মেসিকে চাই, আমরা মেসিকে চাই’- হংকং স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমেই জোরাল হতে থাকল দর্শকদের শোরগোল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসির খেলা আর দেখা হলো না তাদের। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে যে মাঠেই নামালেন না ইন্টার মায়ামির কোচ! এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হংকংয়ের দর্শকরা। এমনকি টিকেটের টাকা ফেরত চান তারা।
প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে রোববার হংকং একাদশকে ৪-১ গোলে হারায় মেজর সকার লিগের দল মায়ামি।
মাঠে ছিলেন ৩৮ হাজার ৩২৩ জন দর্শক। টিকেটের জন্য তাদের গুনতে হয় এক হাজার হংকং ডলার। অনেকের আবার এর চেয়েও বেশি অর্থ খরচ হয়। সবাই মেসির খেলা দেখার আশায় ছিলেন। কিন্তু পুরোটা সময় বেঞ্চেই বসে থাকেন মেসি। হ্যামস্ট্রিংয়ে হালকা চোট থাকায় বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে খেলাননি মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো।
মেসিকে মাঠে নামানোর দাবিতে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি স্লোগান দিতে থাকেন দর্শকরা। ম্যাচের শেষ দিকে যখন সবাই বুঝতে পারেন যে মেসিকে আর নামানো হবে না, ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকরা। দিতে থাকেন দুয়ো। অনেকে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘রিফান্ড’ রিফান্ড’।
দর্শকদের দুয়োর শিকার হন মায়ামির মালিকদের একজন ও সাবেক ইংলিশ তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামও। সমর্থনের জন্য সবাইকে যখন ধন্যবাদ জানান তিনি, দর্শকরা তখন বুড়ো আঙুল নিচের দিকে রেখে (অসম্মতিসূচক) ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মেসির পাশাপাশি লুইস সুয়ারেসকেও এই ম্যাচে খেলায়নি মায়ামি। উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের হাঁটুতে চোট আছে। ঝুঁকি এড়াতে তাদের মাঠে নামানো হয়নি, ম্যাচের পর বলেন মার্তিনো। একই সঙ্গে দর্শকদের কাছে ক্ষমাও চান তিনি।
“আমরা বুঝি যে লিও (মেসি) ও সুয়ারেস না খেলায় ভক্তরা খুব হতাশ হয়েছেন। এটাও বুঝি অনেক দর্শক খুব বেশি হতাশ হয়েছেন, তাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। লিও ও লুইসকে কিছু সময়ের জন্য যদি মাঠে নামাতে পারতাম, কিন্তু তাতে অনেক বড় ঝুঁকি নেওয়া হতো।”
মেসির না খেলার বিষয়ে আয়োজকদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে হংকং সরকার।
“আজকে মেসির না খেলার বিষয়ে সরকার এবং সেই সঙ্গে ফুটবল ভক্তরা আয়োজকদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুবই হতাশ। ফুটবল ভক্তদের কাছে আয়োজকদের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।”
সৌদি আরবে গত বৃহস্পতিবার আরেক প্রীতি ম্যাচে আল নাস্রের বিপক্ষে শেষ ছয় মিনিট খেলেন ৩৬ বছর বয়সী মেসি।