দারউইন নুনেসের লিভারপুল অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছে আলো ঝলমলে। যদিও প্রাক-মৌসুমে প্রথম ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি। তাতে শুনতে হয় সমালোচনা। সেখান থেকে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। অ্যানফিল্ডের দলটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বললেন, উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারকে একটু আগেভাগেই বিচার করে ফেলেছিল সমালোচকরা।
চলতি দলবদলে বেনফিকা থেকে ৬ বছরের চুক্তিতে লিভারপুলে যোগ দেন নুনেস। ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে পেতে প্রাথমিকভাবে প্রিমিয়ার লিগের দলটির খরচ হয় সাড়ে ৭ কোটি ইউরো।
তবে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি পর্বে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিভারপুলের ৪-০ গোলে হারের ম্যাচে নুনেসের পারফরম্যান্স নিয়ে হয় সমালোচনা। ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি তিনি। প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচেই লাইপজিগের বিপক্ষে দলের ৫-০ ব্যবধানের জয়ে একাই করেন চার গোল। জালের দেখা পান ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জয়ের ম্যাচেও।
এরপর ফুলহ্যামের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগ অভিষেকেও গোল করেন তিনি। ২-২ ড্র ম্যাচটিতে অন্য গোলটি আসে নুনেসের অ্যাসিস্ট থেকে। সোমবার স্কাই স্পোর্টসে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ক্লপ বলেন, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় তাকে দেয়নি সমালোচকরা।
“পাঁচ সপ্তাহ আগে আমরা যখন প্রাক-মৌসুম শুরু করি এবং সে তার প্রথম ম্যাচ খেলে, বাইরে থেকে তাকে ভালোভাবে দেখা হয়নি। এটা আমাদের দিক থেকে নয়, কিন্তু এটা পাগলামী যে আমরা খুব দ্রুত মানুষকে বিচার করি।”
“সবাই এখন দেখছে, ‘আহ, সে তো সত্যিকারের একজন স্ট্রাইকার।’ তার মতো (ফুটবলার) খুব কমই আছে এবং আমাদের যা ছিল তার থেকে ভিন্ন। সে খুবই প্রাণবন্ত ও উদ্যমী। শারীরিকভাবে সে খুবই শক্তিশালী, টেকনিক্যালিও খুব ভালো। নতুন পরিবেশে সে আরও স্থির ও আত্মবিশ্বাসী।”