রেয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতেই গোল করে ম্যাচের সেরা এই ইংলিশ তরুণ, তার পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
Published : 26 Aug 2023, 12:04 PM
‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’- এখন তা বলতেই পারেন জুড বেলিংহ্যাম। প্রত্যাশার অনেক ভার সঙ্গী ছিল তার। কিন্তু রেয়াল মাদ্রিদে শুরুটায় যেন প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করছেন ইংলিশ এই তরুণ, দলকে উপহার দিচ্ছেন জয়। তাকে নিয়ে মুগ্ধতার শেষ নেই কোচ কার্লো আনচেলত্তিরও।
লা লিগায় শুক্রবার বেলিংহ্যামের গোলেই সেল্তা ভিগোকে হারায় রেয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রিগো পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর শঙ্কা জেঁকে ধরেছিল রেয়ালকে। কিন্তু দলকে উদ্ধার করেন বেলিংহ্যাম।
এই নিয়ে নতুন ক্লাবে তিন ম্যাচের সবকটিতেই গোল করলেন তিনি। মোট গোল হলো তার চারটি। এই তিন ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচও তিনিই।
রেয়ালের হয়ে প্রথম তিন ম্যাচেই টানা গোল করার সবশেষ কীর্তি যার, তিনি পরে হয়ে উঠেছেন ক্লাবের ইতিহাসেরই সেরা। কিংবদন্তি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও লা লিগায় প্রথম তিন ম্যাচে করেছিলেন চার গোল।
তবে শুধু গোল করাতেই নয়, বেলিংহ্যামের পারফরম্যান্সের মুগ্ধতার উপকরণ আছে আরও অনেক। রেয়াল মাদ্রিদের জার্সির ভার ও প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট হওয়ার নজির তো কম নেই ইতিহাসে। কিন্তু ২০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার যেন অন্য ধাতুতে গড়া। খুব দ্রুতই মানিয়ে নিয়েছেন এই দলে, এই জার্সিকে করে নিয়েছেন আপন। বল পায়ে তার ছুটে চলা, তার পাস, সতীর্থদের সঙ্গে রসায়ন, সবই চোখে পড়ার মতো। দেখে মনে হয়, অনেক দিন ধরেই যেন এই ক্লাবে খেলছেন তিনি। পথচলার শুরুতেই হয়ে উঠেছেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কোচের প্রশংসা তিনি আদায় করে নিচ্ছেন নিয়মিতই। সেল্তার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের পর যথারীতি বেলিংহ্যামকে স্তুতির জোয়ারে ভাসালেন আনচেলত্তি।
“জুড (বেলিংহ্যাম) গোল করে চলেছে এবং অবদান রাখছে দলে। তবে গোল করাই তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ নয়। সে সার্বিকভাবেও খুব ভালো করছে। বল পায়ে তার বিচরণ দুর্দান্ত। সে খুবই বুদ্ধিমান এবং সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকে। জায়গা বের করে নেওয়ার অসাধারণ সামর্থ্য আছে তার।”
রেয়ালের হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক হয় চেলসি থেকে ধারে আনা গোলকিপার কেপা আরিসাবালাগার। তার পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্টির কথা জানান কোচ।
“কেপা খুব ভালো খেলেছে। সব মিলিয়েই আমাদের জন্য অল-রাউন্ড ভালো ম্যাচ ছিল। যদিও চোখধাঁধানো কোনো জয় নেই, তবে সবার নিবেদন ছিল। ভিনির চোট বা রদ্রিগোর পেনাল্টি মিসের মতো কিছু বাজে ব্যাপার ছিল। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। মাঠে নামাটা কেপার প্রাপ্য ছিল। আগের ম্যাচগুলিতে লুনিন খেলেছে। আমরা দেখিয়েছি যে, গোলবারেও আমাদের বিকল্প আছে।”
টানা তিন জয়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করেছে রেয়াল। পরের ম্যাচে অবশ্য তারা পাবে না পেশির চোটে পড়া ভিনিসিউসকে।