পঞ্জিকার পাতায় ২০২২ সাল এখন অতীত। তবে লিওনেল মেসির হৃদয় থেকে নয়। এই বছরটি তার মনে চিরন্তন রয়ে যাবে সবসময়। এক জীবনের স্বপ্ন যে সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে এই বছরটিতেই!
মেসি ও আর্জেন্টিনার বিশ্ব শিরোপার আকুতি পূরণ হয়েছে এই বছরের শেষ দিকে এসে। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপার খরা ঘুচেছে। মেসি ছুঁতে পেরেছেন অধরা সেই ট্রফিকে। টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। তার দল যেমন সেরা হয়েছে, তিনিও জিতে নিয়েছেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
গত বছর কোপা আমেরিকা জিতে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম বড় কোনো শিরোপার স্বাদ পান মেসি। এই বছরের জুনে ইতালিকে হারিয়ে তারা জিতে নেন ফিনালিস্সিমা। তবে মূল লক্ষ্য ছিল তার বিশ্বকাপ। এটি জিততে না পারলে অপূর্ণই রয়ে যেত ক্যারিয়ার। কিন্তু অর্জনে ঠাসা সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের কোনো অপূর্ণতাই আর রাখেননি তিনি।
বছরের শেষ দিনে সামাজিক মাধ্যমে বার্তায় আর্জেন্টাইন মহাতারকা শোনালেন সেই প্রাপ্তি ও তৃপ্তির কথা। কৃতজ্ঞতা জানালেন তাদের প্রতি, যারা তার শক্তির উৎস।
“একটি বছর শেষ হলো, যেটিকে আমি কখনোই ভুলতে পারব না। যে স্বপ্ন তাড়া করছিলাম সবসময়, সেটি সত্যি হয়েছে এবার।”
“তবে এটির মূল্য থাকত না, যদি না আমি এটি ভাগাভাগি করতে পারতাম অসাধারণ একটি পরিবারের সঙ্গে, যে পরিবারের চেয়ে সেরা কিছু চাইতে পারতাম না এবং কিছু বন্ধুর সঙ্গে, যারা সবসময় আমার পাশে থেকেছে এবং দুঃসময়ে আমাকে নুইয়ে পড়তে দেয়নি।”
বিশ্বজুড়ে অগুনতি ভক্ত-সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেসি। শুভ কামনা জানান নতুন বছরের জন্য।
“যে মানুষগুলো আমাকে অনুসরণ করে ও সমর্থন জোগায়, তাদের সঙ্গে স্মৃতির বন্ধনও গড়ে তুলতে চাই আমি। এই পথচলায় আপনাদের এভাবে পাশে পাওয়া অসাধারণ। বার্সেলোনা, প্যারিস ও আরও অনেক শহর ও দেশ থেকে যে সমর্থন ও প্রেরণা আমি পাই ও আন্তরিকভাবে গ্রহণ করি, এসব ছাড়া আজকে আমি এখানে থাকতে পারতাম না।”
“আশা করি, নতুন বছরটিও সবার দারুণ কাটবে এবং ২০২৩ সালেও সবাই সুস্বাস্থ্য ও প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবে।”