ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পর দি মারিয়া বলেছিলেন, তার দেখা সবচেয়ে বাজে কোচ ফন খাল।
Published : 08 Dec 2022, 03:49 PM
ক্যারিয়ারে অনেক কোচের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আনহেল দি মারিয়ার। তাদের মধ্যে লুই ফন খাল তার চোখে সবচেয়ে খারাপ, বেশ কয়েক বছর আগে এমন মন্তব্য করেছিলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। সেই কোচের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে আবার। তাই নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে তার পুরনো সেই কথা।
বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলোর বাধা পেরিয়ে ডাচরা কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে এই ফন খালের কোচিংয়েই।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের দ্বৈরথ পুরনো। আলবিসেলেস্তেরা ১৯৭৮ আসর ফাইনালে ডাচদের হারিয়েই তাদের প্রথম শিরোপাটি জিতেছিল। বিশ্ব সেরার মঞ্চে এনিয়ে ষষ্ঠবারের মতো দেখা হতে যাচ্ছে তাদের।
আগের পাঁচ দেখায় দুটি ম্যাচ জিতেছে নেদারল্যান্ডস, একটি আর্জেন্টিনা। ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্বে দল দুটির মুখোমুখি লড়াইটি হয়েছিল ড্র। আর ২০১৪ আসরে সেমি-ফাইনাল নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে জেতে মেসিরা।
দলকে সেমি-ফাইনালে তোলার পাশাপাশি আসছে ম্যাচে ব্যক্তিগত একটি চাওয়াও হয়তো থাকবে দি মারিয়ার, ফন খালের সামনে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে কিংবা ব্যবধান গড়ে দেওয়া খেলোয়াড় হতে চাইবেন এই আর্জেন্টাইন।
যদিও এই ম্যাচে দি মারিয়ার খেলা নিয়ে এখনও রয়েছে অনিশ্চয়তা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে ঊরুর চোটের কারণে খেলতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে অবশ্য অনুশীলনে ফিরেছেন এই অভিজ্ঞ ফুটবলার।
দি মারিয়ার সঙ্গে ফন খালের সম্পর্ক শীতল হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময়। ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এই মিডফিল্ডারকে দলে টানে ইউনাইটেড। পাঁচ বছরের চুক্তি ছিল তাদের মধ্যে। কিন্তু সম্পর্ক চুকে যায় পরের বছরই।
সে সময় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির কোচ ছিলেন ফন খাল। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু থেকেই তার সঙ্গে সম্পর্কটা খারাপ দিকে রূপ নেয় দি মারিয়ার। ইউনাইটেড ছাড়ার পর টিওয়াইসি স্পোর্টসকে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছিলেন দি মারিয়া।
“ম্যানচেস্টারে আমার সমস্যা ছিল কোচ। ফন খাল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে কোচ। আমি গোল করতাম, অ্যাসিস্ট করতাম এবং পর দিন তিনি আমাকে দেখাতেন আমার ভুল পাসগুলো।”
“একদিন এক জায়গায় তো পরের দিন তিনি আমাকে অন্য জায়গায় খেলাতেন। খেলোয়াড়রা তার ওপরে, তা তিনি একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না।”
কোচের সঙ্গে ওই ‘তিক্ত সম্পর্কের’ কারণে পরের বছর বাধ্য হয়েই নতুন ঠিকানা বেছে নেন দি মারিয়া, যোগ দেন পিএসজিতে। সেখানে সময়টা তার দারুণ কাটে, অল্প সময়েই হয়ে ওঠেন দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এবার জাতীয় দলের হয়ে ফন খালের সামনে আবার নিজেকে নিশ্চয় প্রমাণের তাগিদ অনুভব করছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা।