উদ্বোধনী ম্যাচের ৯ ঘণ্টা আগে থেকে স্টেডিয়ামের সামনে অপেক্ষায় এসব অভিবাসী শ্রমিক।
Published : 20 Nov 2022, 09:10 PM
কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্টলে কাজ করতে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা সারাদিন কড়া রোদে অপেক্ষায় ছিলেন খাবার, পানি ও শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ ছাড়াই।
রোববার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০ জনের বেশি শ্রমিককে উদ্বোধনী ম্যাচের সময় বিভিন্ন স্টলে কাজ কারনোর জন্য ভাড়া করা হয়। ম্যাচ শুরুর আগে সকাল থেকে তারা সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন এবং জানতেন না কি ধরনের কাজ করতে হবে।
এই অপেক্ষায় থাকার সময় তারা কোনো খাবার ও পানি পাননি; শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগও তাদের ছিল না বলে তারা জানিয়েছেন।
A group of more than 200 South Asian workers hired to work concession stalls at World Cup opener in Al Bayt were left without access to food, water or toilet facilities for 7 hours. https://t.co/HU3Zr0VBzs
— tariq panja (@tariqpanja) November 20, 2022
দোহায় তাল খোর স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই শ্রমিকদের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক কথা বলে জানতে পেরেছেন, তাদের নিয়োগ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তারা জানেন না, কোথায় এবং কী কাজ তাদের করতে হবে।
শ্রমিকদের অনেকেই জানান, স্টেডিয়ামের কাছের একটি স্থানে তাদের সকাল ১০টায় উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছিল। উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর ৯ ঘণ্টা আগে থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন।
অভিবাসী শ্রমিকদের একটি দল, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় পুরুষ, তারা বলেছেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তারা ৫৫ দিনের চুক্তিতে সেখানে কাজ করতে গেছেন। চুক্তি অনুযায়ী তাদের একবেলা খাবার ও এক হাজার ডলারের কম বেতন দেওয়ার কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, “এটা খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা। আমাদের যে কাজ দিয়েছে, তারা জানিয়েছিল, সকাল ৯টার মধ্যে এখানে থাকতে হবে।”
শুধু এই শ্রমিকরাই নন, ফিলিপিন্সের একদল নারী কর্মীও জানালেন বাজে অভিজ্ঞতার কথা। ২০ জন নারীর ওই দলটি কাতারে পৌঁছেছেন ‘স্কার্ফ’ বিক্রি করার জন্য।
তারা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, স্টেডিয়ামের সামনে উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছালেও কাউকে খুঁজে পাননি তারা। তীব্র গরমে খাবার ও পানি ছাড়াই অপেক্ষায় আছেন এবং নিয়োগকর্তার সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাননি।
বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে কাতারে কয়েক লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের বেশিরভাগই মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সেখানে কাজ করছেন।
কাতারসহ পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কড়া সমালোচনা করে আসছে। যদিও কাতার দাবি করেছে যে তারা তাদের শ্রমআইন সংস্কার করেছে।