চেনা-অচেনা শাভিকে নিয়ে সাবধানী এনরিকে

একজন পেশাদার হিসেবে নিজের দায়িত্ব ও দলকে নিয়ে ভাবছেন স্প্যানিশ এই কোচ।

খেলোয়াড়ি জীবনে দুজনই বার্সেলোনার হয়ে মাঝমাঠ মাতিয়েছেন। খেলেছেন একই সঙ্গে, আবার একজনের আরেক জনের কোচিংয়েও খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। সময়ের পথচলায় আজ তারাই মুখোমুখি অবস্থানে; ভিন্ন দুই দলের কোচ হয়ে। বলা হচ্ছে, পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে ও বার্সেলোনার শাভি এর্নান্দেসের কথা। একে অন্যের কৌশল তাদের বেশ ভালোই জানা। তাহলে মুখোমুখি লড়াইয়ে কি কেউ বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিতে পারবেন? এনরিকে অবশ্য তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত একটায় পিএসজির মাঠে গড়াবে প্রথম লেগের ম্যাচটি। 

আগের দিন এনরিকের সংবাদ সম্মেলনে উঠল প্রতিপক্ষের কোচের সঙ্গে তার খেলোয়াড়ি জীবন ও তাকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতার কথা। বার্সেলোনায় আট বছর খেলার পর ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সময়ে দলটিকে কোচিং করান এনরিকে, একবার ট্রেবলসহ জেতেন অনেক শিরোপা। 

শাভির সঙ্গে খেলা ও তাকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কি আসছে ম্যাচে পিএসজির জন্য বাড়তি কোনো সুবিধা যোগ করতে পারবেন?-এমন প্রশ্নে সরাসরি না বলে দেন এনরিকে। কারণটাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। 

“কোচ শাভিকে আমি একদমই চিনি না। আমি তাকে কেবল খেলোয়াড় হিসেবেই জানি। ক্লাবটিকেও (বার্সেলোনা) আমি খুব ভালোমতো জানি, তকে কোচ শাভির সম্পর্কে নয়।” 

“বার্সেলোনাকে আমি সত্যিই ভালোভাবে জানি এবং দলটির খেলোয়াড়দের সম্পর্কেও; কিন্তু এই জানা আসছে ম্যাচে (আমার দলের) কোনো কাজে আসবে কিনা, সেটা জানি না। উল্টোটাও হতে পারে।” 

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে যে ক্লাবের সঙ্গে অনেক বছরের সম্পর্ক, সেই দলের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক এনরিকের। অকপটেই তিনি তা বললেন; তবে পেশাদারিত্বের জায়গায় সেটার কোনো প্রভাব নেই। 

“সেখানে আমি যা কিছু পেয়েছি, সেই কারণে আবেগের জায়গা থেকে আমার জীবনে ক্লাবটির মূল্য অনেক। তবে আমি একজন পেশাদারও, তাই আমাকে আমার দায়িত্ব ও আমার দলকে নিয়ে ভাবতে হবে।” 

 “লড়াইটা আমার জন্য বিশেষ কিছু হতে যাচ্ছে, তবে আমি পিএসজির জন্য আমার সর্বোচ্চটা দিতে প্রস্তুত। ম্যাচটির জন্য আমি মুখিয়ে আছি এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই ক্লাবকে আমি অনেক শিরোপা জেতাতে পারব।” 

চলতি মৌসুমে লিগ আঁ জয়ের দৌড়ে খুব ভালোভাবেই আছে পিএসজি। ২৮ রাউন্ড শেষে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রেস্তের চেয়ে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে আছে তারা। 

তবে সমর্থক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে পিএসজি সংশ্লিষ্ট সবার কাছেই সবচেয়ে মূল্যবান এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ; কেননা কখনোই যে এর শিরোপা জিততে পারেনি তারা। ২০১৫ সালে বার্সেলোনা সবশেষ শিরোপা জেতার সময় কোচ ছিলেন এনরিকে। এবার তিনি পিএসজিকে ইউরোপ সেরার মঞ্চে দিতে চান শিরোপার অনির্বচনীয় স্বাদ।