চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল আয়োজনে আর ‘ভুল করবে না’ উয়েফা

সবশেষ দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অব্যবস্থাপনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন।

২০২২ সালের পর চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও বাজে অভিজ্ঞতা হয় দর্শকদের। এমন কিছু যাতে ফের না হয়, সেই ব্যাপারে আশাবাদ জানালেন ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন। বললেন, আগামীতে দারুণ কিছু উপহার দেবেন তারা।

ইউরোপ সেরার প্রতিযোগতার ফাইনালে ইস্তানবুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে গত ১০ জুন মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান। ওই ফাইনাল নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের অভিযোগের মধ্যে ছিল স্টেডিয়ামে পরিবহনের সমস্যা, পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাব এবং পানির সীমিত সরবরাহের ব্যাপারগুলো।

শিরোপার লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় সিটি। প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার ট্রফি ঘরে তোলে ইংলিশ ক্লাবটি।

সম্প্রতি ম্যানচেস্টারে ইউরোপীয় ফুটবল ফ্যান কংগ্রেসে যোগ দেন চেফেরিন। সেখানে তিনি ফাইনালের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, ইউরোপীয় সব প্রতিযোগিতা আয়োজনে উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

“আমরা ভালো করেই জানি যে ইস্তানবুলে সবকিছু নিখুঁত ছিল না এবং আমি অবশ্যই কিছু সমর্থকরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা যা উন্নতি করতে পারি সেটার জন্য আসুন একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাই। আমি বিশেষ করে পরিবহনের ব্যবস্থা, শারীরিকভাবে অক্ষম সমর্থকদের সুবিধার দিক বিবেচনা করা এবং সবার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থার দিকটি নিয়ে ভাবছি।"

“আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলছি, আগামী বছর ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল এবং জার্মানিতে ইউরো ২০২৪ সমর্থকদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা হবে।”

২০২২ সালের ফাইনালে প্যারিসে লড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। স্তাদ দে ফ্রান্সে সেদিন লিভারপুল সমর্থকদের অনেকে সময়মতো মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। অনেকটা দাঙ্গার মতো বেঁধে যায় সেখানে। প্যারিসের পুলিশকে দেখা যায় কাঁদুনে গ্যাস ছুড়তে, আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন নারী ও শিশুরাও।

এরপর ৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ফাইনাল। এই ঘটনা নিয়ে একটি স্বাধীন প্যানেল দীর্ঘ তদন্তের পর রিভিউ প্রকাশ করে, যেখানে অনেক জায়গায় উয়েফার ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়। রিভিউয়ে ওই ঘটনার জন্য উয়েফার অব্যবস্থাপনাকে দায় দেওয়া হয়।

ওই ফাইনালে নিজেদের অব্যবস্থাপনার দিকটি স্বীকার করে নেন চেফেরিন।

“আমি এখানে দুঃখ প্রকাশ করতে এসেছি। আমরা গত বছরের ঘটনাগুলো ভুলে যেতে চাই। সবাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিসে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল এবং আমরা জানি কী হয়েছিল।”