শক্তিশালী কুয়েতের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন পূরণ না হলেও এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছু পাওয়ার কথা জানালেন জামাল ভূঁইয়া, শোনালেন সামনে আরও ভালো করার আশাবাদও।
Published : 02 Jul 2023, 06:50 PM
কেমন আছেন? উত্তরে শুধু জামাল ভূঁইয়া বললেন, “ভালো নেই। রাতে ঘুম হয়নি।” হওয়ার কথাও নয়। চোখ জুড়ানো ফুটবল খেলেও শক্তিশালী কুয়েত বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা হয়নি দলের। বাংলাদেশ অধিনায়কও তাই পার করেছেন নির্ঘুম রাত।
প্রাপ্তির হিসেব পুরোপুরি না মিললেও জামাল অবশ্য দল নিয়ে গর্বিত। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বপ্নভঙ্গ, নতুন করে স্বপ্ন দেখার উপলক্ষ্য পেয়ে যাওয়া, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসাসহ আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বললেন মন খুলে। দলকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়ে রাখলেন- এই স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে হবে।
দারুণ আশা জাগিয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ…সেমি-ফাইনালে ১-০ তে হেরে গেলেন কুয়েতের বিপক্ষে।
জামাল: নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত আমি মনে করি, আমরা ভালো খেলেছি। একটা দল হিসেবে আসলেই ভালো খেলেছি কুয়েতের বিপক্ষে এবং এ কারণে হেরেছি বলে হতাশ। ভালো সুযোগ পেয়েছি তিন-চারটা, ওপেন চান্স, কিন্তু যেদিন গোল দরকার ছিল ভীষণ, সেদিন দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলাম না। কিন্তু এটাই ফুটবল।
অতিরিক্ত সময়ে আমরা একটু অগোছালো ছিলাম, এজন্য ওরা গোল করতে পেরেছে। দেখুন, তখন অতিরিক্ত সময়ের প্রথম অর্ধের যোগ করা সময়ের আর ৩০ সেকেন্ডের খেলা বাকি ছিল, আমাদের আরেকটু অভিজ্ঞতা থাকলে ওই সময়টুকু পার করে দিতে পারতাম। কুয়েত আমাদের চেয়ে অভিজ্ঞ, ওরা একটা থ্রো ইন থেকে সুযোগ পেল এবং গোল করল। আসলে আমাদের অভিজ্ঞতার একটু ঘাটতির কারণে ওটা হয়েছে। এরপরও আমরা একটা-দুটো সুযোগ পেয়েছি, বিশেষ করে শেষ দিকে মরিয়া চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু হয়নি।
ভালো খেলেও হেরেছেন, দুর্ভাগ্যের দায়ও দেখলেন…
জামাল: এটাই আসলে ফুটবলের সৌন্দর্য। এমনও হতে পারে, আপনি খুব ভালো খেলেও পরাজিত দলে, আবার আপনি খুব খারাপ খেলেছেন, কিন্তু দল জিতেছে। কুয়েত ম্যাচের পর আমরাও এমনটা অনুভব করেছি। কিন্তু দিন শেষে ফলই সবকিছু।
এর আগে দল হারলে আপনি সতীর্থদের সমালোচনা করেছেন। এবার করছেন প্রশংসা। অধিনায়ক জামালের কি এই অভিজ্ঞতা প্রথম?
জামাল: (হাসি) আমাদের দলটা এখন অনেক বদলেছে। যদি গত ম্যাচগুলো দেখেন, আমরা উইঙ্গার নিয়ে খেলি না। কোচ চান পজিশন ধরে রেখে খেলা। একসময় আমার সামনে একজন স্ট্রাইকার খেলেছে, এখন দুজন ফরোয়ার্ড খেলানো হয়। এখানে বদল হয়েছে। টিমও অনেক গোছালো হয়েছে। সবার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া অনেক ভালো। ফাইনালে উঠতে না পারলেও গত চার ম্যাচেই দল ভালো খেলেছে।
ভালো দল হয়ে ওঠার এই প্রক্রিয়া শুরু কখন থেকে?
জামাল: গত মার্চে আমরা যখন সৌদি আরবে গেলাম, তখন থেকে। আমরা তো শুধু উইঙ্গার আর উইঙ্গার খেলাতাম আগে, কোচের সাথেও আমি আলাপ করেছি বিষয়গুলো নিয়ে। বললাম, আসলে আমাদের বক্স প্লেয়ার নেই, ফরমেশন বদলাতে পারি। তখন কোচ বলল, কিভাবে? বললাম দুজন প্রথাগত স্ট্রাইকার না হলেও আমরা দুজন ফরোয়ার্ড খেলাতে পারি। আরও বেশি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার খেলাতে পারি, কিংবা ফলস নাইন পজিশনে খেলাতে পারি কাউকে।
কোচ তখন আমাকেই ফলস নাইন পজিশনে খেলার কথা বললেন। এই পজিশনে মানিয়ে নিতে পারব কিনা, তা নিয়ে শুরুর দিকে দ্বিধায় ছিলাম আমিও। তাই আমার বদলে অন্য কাউকে বেছে নিতে বলেছিলাম, কিন্তু কোচ আমাকেই বললেন চেষ্টা করতে। বললেন, তুমি পারবে, শুধু একটু ভালো করে চেষ্টা করে দ্যাখো।
এই কৌশলের সঙ্গে আপনারা এত দ্রুত মানিয়ে নিলেন কিভাবে?
জামাল: শুরুর দিকে সবাই একটু আন-কমফরটেবল ছিল। তাই সৌদি আরবে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় মালাবির বিপক্ষে এই কৌশলে খেলিনি আমরা। পরে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে একটু চেষ্টা করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে যখন এলাম, তখন এটা নিয়ে আরও নিবিড়ভাবে কাজ হলো। প্রস্তুতির সময় মনে হলো, যদি আমরা সুযোগ তৈরি করতে চাই, তাহলে মাঝমাঠে আমাদের আরও মিডফিল্ডার লাগবে। আমরা চার জন নিয়ে খেলা শুরু করলাম।
এবারের সাফ খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক জামালের কেমন গেল?
জামাল: খেলোয়াড় হিসেবে লেবাননের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের কিছু অংশ বাদ দিলে সব মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। নতুন পজিশনে খেলেছি, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে, কখনও ফরোয়ার্ডদের পেছনে খেলেছি, নরমালি আমি তো মিডফিল্ডে (কখনও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে) খেলি, একটু নিচে নেমে খেলি। কিন্তু আমাকে কোচ বলল, তুমি ফলস নাইন পজিশনে খেলতে পারবে, অন্যরা ওই পজিশনে গেলে কনফিউজড হয়ে যায়, আমি বললাম, ঠিকাছে, চেষ্টা করতে পারি। তখন কোচকে বলেছিলাম, আমি নিজেও কিন্তু কনফিউজড হয়ে যায়। কিন্তু কোচ বলল, খেলো, আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে পারবে।
অধিনায়ক হিসেবে আমি দল নিয়ে গর্বিত, কিন্তু এবারও সাফের ফাইনালে উঠতে পারলাম না, শিরোপা জিততে পারলাম না বলে হতাশ। এবার আমি খুব করে চেয়েছিলাম শিরোপা জিততে এবং এটা আমি অনুভব করেছি। আপনি যে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, প্রতিটি সন্ধ্যায় খেলোয়াড়দের সাথে মিটিং করেছি। আমরা যারা সিনিয়র আছি, তাদের কাছে এই টুর্নামেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একবার তো মোরসালিন বলল, ভাই আমি তো জানি না সাফ এত গুরুত্বপূর্ণ (হাসি), বললাম-এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রতিটি ম্যাচ, প্র্যাকটিস সেশনে ভালো করতে হবে সবাইকে। না হলে লক্ষ্যপূরণ করতে পারব না। আমরা ভালো ফুটবল খেললাম, কিন্তু আবার শেষ দিকে গোল হজম করে হেরে গেলাম, এজন্য বেশি হতাশ।
কখনও কি মনে হয়েছে আক্রমণভাগে রাকিবের মতো গতিময় আর এক-দুজন থাকলে….
জামাল: দেখুন, আমাদের আক্রমণভাগে এখন যারা আছে তারা সবাই প্রতিপক্ষের জন্য বিপদজনক, ফাহিমও (ফয়সাল আহমেদ) বিপদজনক, মালদ্বীপের বিপক্ষে ভালো সুযোগ পেয়েছে ও, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। এখন আমরা যে কৌশলে খেলছি, তাতে আরও বেশি সুযোগ তৈরি হয়। ‘ফলস নাইন’ নিয়ে খেললে প্রতিপক্ষও দ্বিধায় পড়ে যায়। তবে হ্যাঁ, আরও দুই-তিন জন গতিময় ফরোয়ার্ড থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। রাকিব তো সেই খেলা খেলেছে, মোরসালিনও ভালো খেলেছে।
সাফের আগে ভারত ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে লেবাননের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলেছে। কখনও কি মনে হয়েছে, আপনারাও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আগে খেলার সুযোগ পেলে নিজেদের পরখ করে নিতে পারতেন।
জামাল: কোচ এবং তার সহকারীরা আমাদেরকে অনেক ভিডিও সেশন করায়। সেখানে আমরা প্রতিপক্ষের শক্তি, দুর্বলতা দেখি। কোথায় ওদের ভালো এবং কোথায় দুর্বল খেলোয়াড়, আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করি। তবে হ্যাঁ, সাফের একটু আগে যদি আমরা শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে পারতাম, তাহলে তো কিছু ধারনা নিতে পারতাম। নিজেদের লেভেল জানতে পারতাম। তবে জুন মাস নিয়ে আমি খুশি, এটা আমাদের জন্য সফল মাস ছিল।
বলতে চাচ্ছিলাম, মোরসালিনের যদি সাফের আগে বড় দলের বিপক্ষে একটা-দুটো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকত, তাহলে হয়ত কুয়েত ম্যাচে সুযোগটা হারাত না…
জামাল: এটা তো সত্যি, আমরা যখন বড় দলের বিপক্ষে খেলব, তখন দলে যারা নতুন, তারা একটু নার্ভাস থাকবে। মোরসালিনও ছিল। যখন ও মিস করেছে, ওকে বলেছি, সমস্যা নেই, তুমি আরও সুযোগ পাবে, চিন্তা করো না। কিন্তু একজন খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তাটা এসেই যায়, বিশেষ করে যারা আক্রমণভাগে খেলে, তাদের কাঁধে অনেক দায়িত্বের বোঝা থাকে এবং অবশ্যই অভিজ্ঞতা ফুটবলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে মোরসালিন সবে দলে ঢুকেছে, ওকে আমরা দোষ দিচ্ছি না (ওই সুযোগ নষ্ট নিয়ে)।
বাকি তরুণ সতীর্থদের পারফরম্যান্স নিয়ে…
জামাল: ফাহিম ক্লাব পর্যায়ে লেফট ও রাইট উইংয়ে খেলেছে, কিন্তু ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল আলাদা ঘরানার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সাথে তুলনা করলে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সময় কম মেলে, ম্যাচের মানও অনেক উচুঁ, ওকে নতুন বিষয়গুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। শুধু ফাহিম নয়, হৃদয়, জনি সবাইকে মানিয়ে নিতে হবে। ফুটবল সবসময় বদলায়, দেখুন, রাকিব ক্লাবে নাম্বার-৯ পজিশনে খেলেনি, কিন্তু এখানে মানিয়ে নিয়েছে। পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে সবাইকে।
হেরেও আপনারা প্রশংসা পাচ্ছেন, কেমন লাগছে? এই দলটাতে আর কি যোগ হলে বাংলাদেশ দল দুর্দান্ত হয়ে উঠবে?
জামাল: লেবানন ম্যাচে সিলি মিসটেক হয়েছে। এছাড়া তেমন কোনো ভুল করিনি আমরা। ভালো দল হয়ে ওঠা একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমরা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি, তাহলে এগিয়ে যেতে পারব। আপনারা যদি ভারতকে দেখেন, ওদের নতুন কোচ ইগর স্তিমাচ যখন এলো, ওদের র্যাঙ্কিং ছিল একশর বাইরে, এখন ওরা একশ’র ভেতরে। এটা এক বছরে হবে না, দুই তিন বছর লাগবে। যখন আমি সুনিল ছেত্রির সাথে আলাপ করেছি, সেও বলেছে, ভাই, আমরাও খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছি; ফুটবল নিয়ে হাইপ (উন্মাদনা) ছিল, কিন্তু আমরা বড় পার্থক্য গড়তে পারিনি শুরুর দিকে। যখন সবাই মানসিকতা বদলেছে, ভাবনা, সংস্কৃতি-সবকিছু বদলেছে, তখন তারা এগিয়ে যাওয়ার পথ পেয়েছে।
সুনিল ছেত্রির কথা বললেন, তিনি তো সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে মাঠে কখনও ভালোবাসা পাননি!
জামাল: (হাসি) যখনই আমি ভারতের বিপক্ষে খেলি, ওকে বলি, ‘সুনিল আমরা তোমাকে অনেক পছন্দ করি, কিন্তু মাঠে আমরা তোমাকে মেরেই ফেলব! ও পাল্টা বলে-দেখা যাবে। মাঠে সুনিল তো আমাকে কটু কথাও শোনায়, বলে-জামাল এটা কি হচ্ছে? আমিও বলি, তুমি কি মনে করো, আমি তোমাকে আনন্দে থাকতে দিব? এটা হয়ত মাথায় রেখেছে এখনও।
মুগ্ধতা নিয়ে কোচ বলেছেন, এটাই বাংলাদেশের ফুটবলের ‘স্ট্যান্ডার্ড’, আপনার কি মনে হয়?
জামাল: কোচের মতো আমিও মনে করি এটাই আমাদের স্ট্যান্ডার্ড। সাফের প্রতিটি ম্যাচেই আমার মনে হয়, আমরা ভালো খেলেছি। লেবাননের বিপক্ষে দুটি সিলি মিসটেক ছিল, এর বাইরে ভালো খেলেছি। মালদ্বীপ ম্যাচে শুরুতে গোল খেয়েছি, কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। এখন যে লেভেলে আছি, আমাদেরকে পরের লেভেলে যেতে হবে। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে হবে।
পরের লেভেলে যেতে করণীয় কি?
জামাল: এটা শুধু খেলোয়াড়দের ব্যাপার না। ফেডারেশনকেও কাজ করতে হবে, কোচ কাজ করবে, সবাইকে একসাথে মুভ করতে হবে। খেলোয়াড়রা একদিকে আর ফেডারেশন আরেক দিকে গেলে হবে না। সবাইকে এক দিকে যেতে হবে। এখন আমরা ভালো ট্র্যাকে আছি, এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
অবশ্যই সবকিছু মেনটেইন করতে হবে। ভালো কিছু করতে হবে। এবার আমরা প্রস্তুতির ভালো সময় পেয়েছি। কম্বোডিয়ায় দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভালো করতে হলে নিয়মিত ভালো দলগুলোর বিপক্ষে খেলা খুব প্রয়োজন।
স্বপ্ন ভেঙেছে, তাহলে এই সাফ থেকে মূল প্রাপ্তি কি?
জামাল: এই সাফের আগে সবাই দেখেছে, বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৯২; মনে করেছে এরা সহজ প্রতিপক্ষ, কিন্তু ভারতের কোচ আমাকে বলেছে, তোমরা যেমন খেলো, তাতে র্যাঙ্কিংয়ে আরও উপরে থাকা উচিত তোমাদের। বলেছে, তোমাদের দলকে হারানো ভীষণ কঠিন। আমিও বলেছি, ধন্যবাদ। আমাদেরকে এখন এটা ধরে রাখতে হবে। স্থায়ীত্ব (স্ট্যাবিলিটি) ধরে রাখা ফুটবলে খুবই কঠিন, এটা করতে পারলে অনেক এগিয়ে যাব আমরা।
দেখেন, সবাই আমাদের প্রশংসা করছে; আমরাও খুশি। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু এই প্রশংসা স্রেফ এক মাস পেলে হবে না। আমাদের তিন-চার বছর বা আরও বেশি সময় ধরে রাখতে হবে। এ মুহূর্তে যে অবস্থায় আছি, যেভাবে ছুটছি , এটা ধরে রাখতে হবে। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
দেশের সমর্থকদের উদ্দেশে কি বলবেন?
জামাল: সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। এটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছি, অনেক মানুষ আমাদের দলকে অনুসরণ করেছে, আমাকে মুঠোবার্তা দিয়েছে, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।