লা লিগা প্রধান হাভিয়ের তেবাসের মনে হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে।
Published : 17 Feb 2023, 03:13 PM
লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস মনে করেন, বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারি কমিটির সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্টকে বেআইনিভাবে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ সত্যি হলে, সেটা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু সেই দায়ে কাতালান ক্লাবটিকে এখন আর হয়তো শাস্তি দেওয়া যাবে না বলে শঙ্কা তার।
কারণ হিসেবে লা লিগা প্রধান বললেন, ওই ঘটনার পর মাঝে অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার কথা।
১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্পেনের রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন নেগরেইরা। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তার কোম্পানি ‘ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভ’-কে বার্সেলোনা ওই অর্থ প্রদান করে বলে জানতে পেরেছে স্পেনের প্রসিকিউটর অফিস।
স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা সের-এর এক অনুষ্ঠানে গত বুধবার দাবি করা হয়, ২০১৬ সালে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭২৮ ইউরো, ২০১৭ সালে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৫২ ইউরো ও ২০১৮ সালে ৩ লাখ ১৮ হাজার ২০০ ইউরো ওই কোম্পানিকে প্রদান করে বার্সেলোনা।
নেগরেইরা অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে কাদেনা সের-এ বলেছেন, দায়িত্বে থাকাকালীন বার্সেলোনাকে কোনো সুবিধা তিনি দেননি। পরামর্শমূলক কাজের জন্য তাকে এই অর্থ প্রদান করেছিল ক্লাবটি।
ম্যাচের সময় রেফারির সঙ্গে খেলোয়াড়দের কেমন আচরণ করা উচিত, এসব বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার বিষয় ছিল সেখানে। এ ছাড়া ম্যাচের রেফারি কে থাকবেন, তার ওপর নির্ভর করে তারা কী করতে পারবে বা কী করতে পারবে না, সে বিষয়েও তিনি পরামর্শ দিতেন। যদিও অর্থের বিনিময়ে বার্সেলোনাকে যে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণাদি দেখাতে পারেননি নেগরেইরা।
একই রেডিও অনুষ্ঠানে বার্সেলোনার সাবেক প্রেসিডেন্ট জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ‘অবিরত’ অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। ক্লাবের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ান গাসপার্তে বলেন, এসব অর্থপ্রদানের ‘কোনো রেকর্ড’ নেই।
এরপর বার্সেলোনা এক বিবৃতিতে জানায়, এ ধরণের পরামর্শক নিয়োগের বিষয়টি পেশাদার ক্লাবগুলোর জন্য ‘স্বাভাবিক’ ব্যাপার।
এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার কথা বলেন লা লিগা সভাপতি তেবাস। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই ধরনের পরিষেবা কখনই দেওয়া উচিত নয়। সঙ্গে এটাও যোগ করেন, এ ইস্যুতে ফুটবলীয় দিক থেকে কাউকে শাস্তি দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে।
“বার্সেলোনাকে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সম্ভব নয়। পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে এবং এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মেয়াদকাল তিন বছর পর শেষ হয়ে যায়।”
“ক্রীড়ার দৃষ্টিকোণ থেকে তাই এটা (শাস্তি দেওয়া) সম্ভব নয়, কিন্তু (দেশের আইনে) এটা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কারো দ্বারা ম্যাচ পাতানোর মতো বিষয়গুলো সেখানে ঘটেছে কিনা, প্রসিকিউটর অফিস বিষয়গুলো দেখছে।”
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) এ ইস্যুতে পরিষ্কার ধারণা পেতে ‘সিটিএ ও বার্সেলোনার সংরক্ষিত তথ্য জানতে চেয়েছে।’ এরই মধ্যে প্রসিকিউটর অফিসে সাক্ষ্য দিয়েছেন নেগরেইরা ও তার ছেলে।